নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রবিবার ১০ এপ্রিল, লঞ্চে চলাচলের ক্ষেত্রে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখাতে হবে । লঞ্চ কর্র্তৃপক্ষ এনআইডি সংরক্ষণ করবে। রাতের বেলায় স্পীডবোট এবং বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে ৫(পাঁচ) দিন এবং ঈদের পরের ৫(পাঁচ) দিন দিনের বেলাও সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের পূর্বে ৩ (তিন) দিন ও ঈদের পরে ৩ (তিন) দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। ঢাকা নদী বন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ নদী বন্দর এলাকায় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট থাকবে। কোন ক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না; লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা যাবেনা। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রি সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘেœ যাতায়াতের লক্ষ্যে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলকাভিত্তিক/পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ যে কোনো জরুরী প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র হটলাইন নম্বরঃ ১৬১১৩-তে যোগাযোগ করবেন। আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে নৌপথে স্টীমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ঈদ ব্যবস্থাপনা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালালউদ্দিন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (যাত্রি পরিবহন) সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম ভূইয়া, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সরাসরি ও জুমে উপস্থিত ছিলেন।