মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে দুগ্রুপের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।নড়াইল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী-লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুমান আরার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সকালে মানববন্ধন করেন,নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মি, যুবলীগ,তাতীলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেত্রীবৃন্দ প্রমূখ।(২৮ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় নড়াইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাধন,পৌর-ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি উচ্ছাস আলম ও সাবেক ছাত্রনেতা ফাইনুল ইসলাম শাওনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিগ্রস্থ পৌর-মেয়র কর্তৃক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধনে নেতাকর্মিগণ মেয়রকে দুর্নীতিগ্রস্থ বলে দাবি করে অবিলম্বে সাবেক সফল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান,তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহন করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন মানববন্ধনে।এসময় বক্তব্য রাখেন,যুবলীগ নেতা এস এম ফয়সাল সাদি,জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিঠুন বিশ্বাস রাজু,জেলা ছাত্রলীগের স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন মোল্যা,নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সভাবেক সভাপতি সুজন মোল্যা প্রমূখ।মানববন্ধন শেষে নেতাকর্মিগণ জেলা প্রশাসক এর কাছে স্বারকলীপি প্রদান করে।এদিকে,একই দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর মেয়রের সম্মেলন কক্ষে নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।নড়াইল পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী-লীগের সহ-সভাপতি আনজুমান আরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন,সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী কয়েক সন্ত্রাসী মঙ্গলবার (২৬এপ্রিল) দুপুরে আমার সাথে পৌর ভবনের নিজ কক্ষে অশালীন আচরণ ও হুমকি-ধমকি প্রদর্শনের পর থানায় মামলা এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তাতার করতে পারেনি।উল্টো সন্ত্রাসারী’রা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। তিনি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের যদি দমন করা না যায় তাহলে নড়াইল পৌরসভার সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হবে বলে মন্তব্য করেন। পবিত্র ও রমজানের কারনে তিনি কঠোর আন্দোলন থেকে সাময়িক বিরত রয়েছেন বলেও জানান।সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,প্যানেল মেয়র-১ কাজী জহিরুল হক,কাউন্সিলর রেজাউল বিশ্বাস, কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু,আহসান হাবিব তুফান, মোহাম্মদ রাজু,ইপি রাণী বিশ্বাস,আঞ্জুমনোয়ারাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।এদিকে,গত ২৬ এপ্রিল শহরের পুরাতন বাসটার্মিনালে পৌরসভার অস্থায়ি কার্যালয়ে পৌরসভার ১৪২৯ সালের হাট-বাজার, টার্মিনাল ইজারা সংক্রান্ত সভা চলছিল। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনসহ ৮/১০ জন্য মেয়রের কার্যালয়ে অগ্নেয়স্ত্রসহ প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় চাঁদার দাবিতে মেয়রকে হত্যাসহ পৌরসভায় প্রবেশ করতে না দেয়ার হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক পৌর পরিষদ জরুরুী সভায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।এ ঘটনায় উচ্ছাস,মশাওন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে দায়িকরে ওই রাতেই মেয়র বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ২৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের নিকট দ্রুত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান করেন পৌর পরিষদ বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান,মেয়র আনঞ্জুমান আরা।এদিকে,সুশিল সমাজের দাবি পৌর-মেয়রের নিজ কক্ষে সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত,তাহলে সেই দিন কি ঘটনা ঘটে ছিলো কে কি অস্ত্র নিয়ে পৌর-সভাই গিয়েছিলো এবং মেয়রের সাথে কেমন ব্যবহার করে ছিলো ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে।সিসি ফুটেজ দেখালেই নড়াইল বাসি সত্য ঘটনা যানতে পারতো কিন্তু সিসি ফুটেজ সকলের সামনে না এনে নানা রকম মনগড়া অভিযোগ করছেন না তো বলেও মন্তব্য করেন সুশিল সমাজ।
