আমরা মানবজাতি এখনো অন্ধকার যুগে বাস করছি

Uncategorized অন্যান্য

ডাঃ অনিতা ব্যানার্জি প্রিয়া (কলকাতা) ঃ নিশ্চিত হারিয়ে যাবো মহাকালের সময়ের অভ্যন্তরে। সময়ের ব্যবধানে আমাকে ভুলে যাবে সবাই। কিন্তু পৃথিবীতে আগমন থেকে যুদ্ধে জয় করে চলেছি এই বিশ্ব ব্রমান্ধে। আমি ও আমরা মানবজাতি বেঁচে আছি এটা আশ্চর্যের বিষয়। নিঃশ্বাস বন্ধ হবার সাথে সাথে ইতিহাস ঐতিহ্য লোভ হিংসা অহংকার সব শেষ। পৃথিবীতে আধুনিকতা এখনো আসে নাই! আছে বর্বরতা -কলঙ্কিত অধ্যায়।
এখনো সভ্যতার আসল রুপ দেখতে পারি নাই। যদি আধুনিক সভ্যতা থাকতো তাহলে আজ পৃথিবীকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করতাম না আমরা মানবজাতি। আধুনিকতা এখনো আসে নাই! যদি আসতো কাগজের টাকা পকেটে নিয়ে ঘুরতাম না। আধুনিকতা খুব শীঘ্রই আসবে। যেখানে ঔয়াই ফাই এর মতো বিদ্যুৎ কানেকশন আসবে। মুখে কথা বলার আগেই ব্রেন থেকে কথা বাহির করা যাবে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল পরিকল্পনা সহ স্মৃতিশক্তি জানা যাবে। যানবাহন চলবে প্রাকৃতিক শক্তিতে। থাকবেনা তেলের ব্যবহার। চলাচল হবে অধিক উন্নত। কথা শক্তি কমে যাবে। কর্ম হবে স্থির চিত্রের মতো। কিন্তু আয়ের উৎস একাধিক হবে। প্রত্যেক মানুষের শরীরে থাকবে উন্নত ডিভাইস। নির্দিষ্ট অফিসে গিয়ে চাকরি করতে হবে না। উন্নত সভ্যতা যা আকাশের শেষ সীমানা পর্যন্ত অতিক্রম করবে প্রাকৃতির শক্তি দিয়ে। কিন্তু নির্দিষ্ট সীমানা মানুষ পার হতে পারবেনা মহান সৃষ্টিকর্তার অনুমতি ছাড়া। বসতি বাসা হবে গ্লাস ফাইবার দিয়ে। ষ্টিল দিয়ে।
এসব দেখার জন্য হয়তো বেঁচে থাকবোনা। তখন মানুষ বলবে আমরা আদিম যুগের মানুষ ছিলাম। কিন্তু সূচনাতো আমরাই করেছিলাম। আগে রাস্তা তৈরি করে দিয়েছি পরে উনারা সেটাকে সেবা যত্ন করে উন্নয়ন করেছে।

তাহলে সৃষ্টিকর্তা আমাদের তৈরি করেছেন আমরা কেন নিজেকে উন্নয়ন করতে পারবোনা? অবশ্যই পারবো পারতেই হবে।
আমরা এখনো পোড়া মাটির যুগে বসবাস করছি। এখনো মাটি আগুনে ঝলসানো ইট দিয়ে বাসা তৈরি করে থাকি। এটা আমাদের চেয়ে আদিম পদ্ধতি। এখনো আমরা হোটেলে খেতে বসলে খবরের কাগজ দিয়ে হাত পরিষ্কার করে থাকি যা ক্ষতিকর।
আসুন এখনো সময় আছে নিজ নিজ ধর্মের অবস্থান থেকে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো সবার প্রতি।


বিজ্ঞাপন