প্রেমের ঘটনা নিয়ে বন্ধুকে নেশা করিয়ে নির্মমভাবে খুন

Uncategorized অপরাধ

৪৮ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত সকল আসামীদের গ্রেপ্তার

মোহাম্মদ নাজমুল হাসান
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
ক-সার্কেল (সদর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ),ঃ তিন বন্ধু নাহিদ, আপন এবং আমিন। নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন সৈয়দপুর এলাকায় বসবাস। তিনজনেই পেশায় অটোচালক। নাহিদ এবং আপন একসময় একই মেয়েকে পছন্দ করতো।

পুরোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে নতুন করে মনোমালিন্য ও বিরোধের সূত্রপাত ঘটে দু’জনের মধ্যে। এরই মধ্যে তাদের অপর বন্ধু আমিন নাহিদকে প্ররোচিত করে আপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের জন্যে। হীন স্বার্থের জন্যে বন্ধুকে মেরে ফেলার জঘন্য পরিকল্পনা আঁটে।

এমনকি ছিনতাইকৃত অটো বিক্রির জন্যে যোগাযোগ করে পূর্ব পরিচিত অটো -রিক্সা চোরাই চক্রের সাথে।পূর্ব পরিকল্পনা মতে ২৫ এপ্রিল রাতে আপনকে দুই বন্ধু নাহিদ ও আমিন রিক্সায় ঘোরার কথা বলে নেশা দ্রব্য পান করিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।অটো রিক্সা নিয়ে বিক্রি করে দেয় ঘটনার সহযোগী চোর চক্রের কাছে। বন্ধু হয়ে উঠে ঘাতক; খুব তুচ্ছ কারণেই।

হত্যাকাণ্ডের সংবাদ প্রাপ্তির পরপরই সম্মানিত পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা কাজ শুরু করি ।
সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও ইন্সপেক্টর তদন্ত সহ একটি চৌকস টিম নিয়ে আনুষঙ্গিক বিষয় তদন্ত ও পর্যালোচনা করি।

স্থানীয় সোর্স এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই মূল রহস্য উদঘাটনপূর্বক হত্যাকাণ্ডে ও অটো ছিনতাইয়ে জড়িত মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং ছিনতাইকৃত অটোও উদ্ধার করা হয় ।

এসব ঘটনায় আমাদের পেশাগত সাফল্য থাকলেও আমরা প্রত্যাশা করি, এভাবে কোন মায়ের বুক যেন খালি না হয়। কারণ, আমরা হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দিতে পারি না, কেবল হত্যাকান্ডে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারি।

অপরাধীর বিচার নিশ্চিতকল্পে দায়িত্বপালনে সচেষ্ট হতে পারি।তবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে যে যায় সে চিরতরেই যায়। কেবল ভুক্তভোগী পরিবার জানে এই নির্মমতার ভয়াবহতা!


বিজ্ঞাপন