সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদের মৃত্যুতে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপসের শোক

Uncategorized অন্যান্য

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. শাহ জিকরুল আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

শোকবার্তায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আইনজীবী হিসেবে শাহ জিকরুল আহমেদ দক্ষতা, কর্মনিষ্ঠা অত্যন্ত সুবিদিত। বিশেষ করে কর আইনজীবী হিসেবে তিনি এদেশের আইনজীবীদের পথিকৃৎ ছিলেন।

শোকবার্তায় ঢাদসিক মেয়র আরও বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ জিকরুল আহমেদ কর্তব্য কর্মে সর্বদা সজাগ ও তৎপর ছিলেন।জীবনের শেষ মুহূর্তগুলোও তিনি কর্ম সম্পাদনে ব্যস্ত ছিলেন এবং কর্ম ব্যস্ততার মাঝেই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তাঁর কর্মতৎপরতা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।”

শোকবার্তায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ যে, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. শাহ জিকরুল আহমেদ শনিবার দিবাগত রাত ১০.২০টায় গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন) করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ জিকরুল আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে নৌকা প্রতীকে ২০০৮ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ ট্যাক্স লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
তিনি আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন ২০২২ এর সাধারণ আসনের একজন প্রার্থী ছিলেন।

নির্বাচনের প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে তিনি গতকাল মা‌নিকগঞ্জ থে‌কে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু ক‌রে ফ‌রিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ীসহ বি‌ভিন্ন জায়গায় সভা ক‌রে রা‌ত সাড়ে ৯ টায় গোপালগ‌ঞ্জ জেলা বার কাউন্সিল মিলনায়তনে প্রচারণা সভায় অংশ নেন।

গোপালগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারণা সভায় বক্তব্য শেষে আনুমানিক রাত ৯.৩৫ টায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে দ্রুত গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন তিনি সেখানেই মারা যান।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।


বিজ্ঞাপন