নন্দীগ্রামে আলোচিত উজ্জ্বল হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী কে দীর্ঘ ২ বছর পর গ্রেফতার করলো পিবিআই

Uncategorized আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ দীর্ঘ ২ (দুই) বছর পর বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার শেখের মরিয়া এলাকার বহুল আলোচিত উজ্জ্বল হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী গ্রেফতার করেছে পিবিআই, বগুড়া । সূত্রঃ নন্দীগ্রাম থানার মামলা নং-১৪, তারিখ- ১১/০৯/২০২০ ইং, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত দীর্ঘ ২ (দুই) বছর পর গ্রেফতারকৃত সন্ধিগ্ধ আসামী মোঃ আলী হাসান (২৮), পিতা-মৃত মুসাদ হাজী এবং মোঃ সাইদুল ইসলাম @ সাহাদ @ সাইদ (৪০), পিতা-মোঃ ফজলুর রহমান, উভয় সাং-শেখের মরিয়া, উভয় থানা-নন্দীগ্রাম, জেলা-বগুড়াদ্বয়কে ১১মে, রাত্রী ৩ টা ৪০ মিনিটের সময় তাহাদের নিজ বসতবাড়ী হতে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখিত মামলার বাদিনী মোছাঃ জহুরা বেওয়া (৬২),স্বামী-মৃত লোকমান কাজী, সাং-ভরতেতুলিয়া রায়পাড়া, থানা-নন্দীগ্রাম জেলা বগুড়াসহ অন্যান্য লোকজন থানায় হাজির হয়ে এজাহার দায়ের করেন যে, গত ১১/০৯/২০২০ তারিখ সকাল অনুমান ৬ টার সময় তাহার বড় ছেলে জুয়েল মোবাইল ফোনে জানতে পারেন যে, বাদিনীর ছোট ছেলে মৃত উজ্জল হোসেন (৩৮) পার্শ্ববর্তী শেখের মারিয়া গ্রামে জনৈক বেলাল হোসেন এর বসত বাড়ীর অনুমান ৩০ গজ পশ্চিম পার্শ্বে মসজিদ সংলগ্ন ইট সলিং রাস্তার উপর মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে বাদিনীসহ অন্যান্য লোকজন ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখতে পায়, মৃত উজ্জ্বলের দুই পায়ে হাটুর নিচ হতে পায়ের পাতা পর্যন্ত রক্তাক্ত থেঁতলানো জখম, বুকে ফোলা জখম, বাম কাঁধে ছেলা জখম এবং ডান পার্শ্বে সামান্য রক্তের চিহ্ন রয়েছে। বাদীনি প্রাথমিক ভাবে জানতে পারে যে তার ছেলে উজ্জল কে কে বা কাহার হত্যা করে ফেলে রেখেছে।

বাদীনির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রাম থানার মামলা নং-১৪, তারিখ ১১/০৯/২০২০, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলাটি প্রথমে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে চুড়াস্ত রিপোর্ট দাখিল করে।

পরবর্তীতে বাদীনি আদালতে নারাজী প্রদান করলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে উক্ত মামলাটি পিবিআই, বগুড়া জেলা প্রাপ্ত হয়ে তদন্ত শুরু করে।

অতিরিক্ত আইজিপি, পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই, বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন এর সার্বিক সহযোগীতায় মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ আব্দুল মালেক মামলাটি তদন্ত শুরু করেন।

তদন্তকালে বিশ্বস্ত সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সন্ধিগ্ধ আসামী মোঃ আলী হাসান (২৮), পিতা-মৃত মুসাদ হাজী এবং মোঃ সাইদুল ইসলাম @ সাহাদ @ সাইদ (৪০), পিতা-মোঃ ফজলুর রহমান, উভয় সাং-শেখের মরিয়া, উভয় থানা-নন্দীগ্রাম, জেলা-বগুড়াদ্বয়কে গত বুধবার ১১ মে, রাত্রী ৩টা ৪০ মিনিটের সময় তাহাদের নিজ বসতবাড়ী হতে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে গত বুধবার ১১ মে, আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামীদ্বয় ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে এবং অন্যান্য সহযোগী আসামীদের নাম প্রকাশ করেছে। পলাতক অন্যান্য সহযোগী আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


বিজ্ঞাপন