বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্ব্দেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের অভিনন্দন

Uncategorized জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ১৭ মে, ১৯৮১, রবিবার বৈরী আবহাওয়া, ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন, এরই মধ্যে সীমাহীন আবেগ, উৎকণ্ঠা, ভালোবাসা নিয়ে ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে অপেক্ষমান লাখ লাখ মানুষ। দীর্ঘ ৬ বছর স্বজনহীন নির্বাসন জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরছেন তাদের প্রিয় নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশে পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে অভিনন্দন, শুভকামনা যানানো হয়েছে।

বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ঢাকার আকাশে দেখা দেয় প্রিয় নেত্রীকে বহনকারী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমান, ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কলকাতা হয়ে বাংলাদেশের আসা বিমানটি ঢাকার আকাশে দেখতে পাবার সাথে সাথে সকল নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ, আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে যায়। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার স্রোতকে কিছুটা সরিয়ে নির্ধারিত ট্রাকটি বিমানের ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেয়া হয়।

বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে সাদা- কালো তাঁতের মোটা শাড়ি পরিহিতা প্রিয় নেত্রী সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। অপেক্ষমান আবেগাপ্লুত লাখো জনতার অশ্রুসিক্ত নয়নে ছিলো ভালোবাসার দৃষ্টি আর কণ্ঠে প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানানো শ্লোগান, প্রিয় নেত্রীর চোখেও ছিলো অশ্রুধারা, লাখো জনতার মাঝে প্রিয় পিতা-মাতা, ভাই বা আরো অনেক স্বজনের কেউ না থাকলেও দেশের সাধারণ মানুষের হৃদয় ছোঁয়া ভালবাসার জবাবে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নেত্রী বলেন, ‘বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসাবে, মেয়ে হিসাবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালো রাতের পর সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া বাংলার মানুষের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ০৬ বছর নির্বাসন জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে দেশবাসীর পাশে থাকার যে অঙ্গীকার করেছিলেন, আজও সেই অঙ্গীকারকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলাদেশ কে বিশ্বের বুকে একটি সম্মানজনক স্থানে পৌঁছে দিতে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

দেশে ফেরার পর দীর্ঘ ৪১ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

তার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করত সেই দেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ।


বিজ্ঞাপন