নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০২২ এর উদ্বোধন শ্রীলংকার পরিস্থিতির কথা বলে বিশৃংখলা সৃষ্টি করার জন‍্য আতংক সৃষ্টি করা হচ্ছে–নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

Uncategorized জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বৃহস্পতিবার ১৯ মে “প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ জলযান, নৌ নিরাপত্তায় রাখবে অবদান ”। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ থেকে দেশব্যাপী নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০২২ শুরু হয়েছে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বৃহস্পতিবার ঢাকায় সদরঘাট নৌবন্দরে এম.ভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চে ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২২’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রীলংকার পরিস্থিতির কথা বলে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি করার জন‍্য আতংক সৃষ্টি করা হচ্ছে; বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

দেশের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্ন করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। করোনা পরবর্তি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সারাবিশ্ব টালমাটাল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, দায়িত্বহীন মানুষেরা দেশ চালিয়েছিলেন বলে আমরা নিরাপত্তা দিতে পারিনি।

এখন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশ চালাচ্ছেন বলে নিরাপত্তা দিতে পারছি। সড়ক, রেলপথে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এমনকি আকাশ পথে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও উন্নয়ন হয়েছে। নৌপথেও উন্নয়ন হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। আরো বাজেট আসবে। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এ জেড এম জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, এমপি, সংসদ সদস‍্য এস এম শাহজাদা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান আহমেদ শামীম আল রাজী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক; বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সাবেক প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি; বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদশ; বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক, নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মনজুরুল কবীর এবং বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভূইয়া।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে আমরা নদী ও নৌপথ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি।

কিন্তু অত্যন্ত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মহাবিজয়ের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই পঞ্চাশের দশক থেকে নদী ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভাবতেন।তিনিই এদেশের সমুদ্র, নদ-নদী, নৌপথ এবং নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রথম পদপ্রদর্শক।

কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই কলঙ্কিত অধ্যায় ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সব কিছুই যেন ওলট পালট হয়ে যায়। ২০০৯ সালের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর পরই নেওয়া হয়েছে নানাবিধ উদ্যোগ।

বিলুপ্ত ও বেদখল হওয়া নদীগুলোকে পুনরুদ্ধার করে খননের মাধ্যমে প্রবাহমান করা এবং নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের কঠিন কাজে প্রধানমন্ত্রী নিজেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হারিয়ে যাওয়া নৌপথ উদ্ধার ড্রেজার সংগ্রহের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। নৌপথের নাব্যতা বজায় রাখার লক্ষ্যে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আর কোন ড্রেজার সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার এ পর্যন্ত ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে;আরো ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, নৌপথে চলাচলরত নৌযান ও নৌযানে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এবং নৌপথকে দূষণমুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য প্রতিবছর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের উদ্যোগে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হয়ে থাকে।


বিজ্ঞাপন