বাংলাদেশে বাস করা পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের সবচেয়ে অপছন্দের ব্যক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার

Uncategorized রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বাংলাদেশে বাস করা পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের সবচেয়ে অপছন্দের ব্যক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার। পুরো পরিবারকে শেষ করার মিশনে তারা সফলও হয়েছিল ১৯৭৫ সালে।

পাকিস্তানপন্থী বিএনপি জামাত ও মুসলিম লীগের রেখে যাওয়া কুসন্তানদের চরম দুর্ভাগ্য যে সেদিন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা আর তার ছায়াসঙ্গী ছোটবোন শেখ রেহানা সেদিন বেচে গিয়েছিলেন।

পাকিস্তান পন্থীদের মনে বড় দুঃখ যে তারা শেখ হাসিনাকে বার বার চেষ্টা করেও মারতে পারলো না, তাদের মনে বড় ব্যাথা শেখ হাসিনা তাদের খুনী ও মানুষ হত্যাকারী রাজাকার ও বাংলাদেশবিরোধী আব্বুদের বিচারের ব্যবস্থা করেছে দিয়েছে, তাদের বড় আব্বুদের শত হুমকিতেও শেখ হাসিনা ভাঙেনও না মচকানও না।

প্রকৃতপক্ষে, বিএনপি নামক নব নাৎসিদের রাজনীতি আর শেখ হাসিনার রাজনীতির ধারা ভিন্ন। আওয়ামী লীগ এর রাজনীতি হলো জনকল্যাণমুখী ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন আর বিএনপি’র রাজনীতি হলো দুর্নীতি ও পাওয়ার পলিটিক্স- এককথায় লাইনে না আসলে মেরে ফেলো।

শেখ হাসিনা যখন বার বার চিন্তা করেন কিভাবে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন, সেখানে এই পাকিস্তানী অতৃপ্ত আত্মাগুলো তার কাজগুলোকে বাজেভাবে প্রচার করাতেই ব্যস্ত থাকে। এমনকি তাদের পক্ষের বিদেশী অপশক্তিগুলোও একই স্টাইলে কাজ করে।

তারা জেনেও না জানার ভান করে যে- বঙ্গবন্ধু শুধু যাদুমিয়াদের স্ক্রিপ্ট পরে বক্তৃতা দিয়ে কিংবা ২ কিলো খাল কেটেই বাংলাদেশের নেতা হননি। তিনি পূর্ব বাংলা, কলকাতা, উত্তর বঙ্গ, পুরোপশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার এমন কোন বঙ্গ নাই যে চিনেন নাই-সেই এলাকার মানুষের সাথে মিশেন নাই।

শেখ হাসিনা সেই মহান নেতার কন্যা; ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে সারাদেশকে পিতার মতোই চেনার চেষ্টা করেছেন তিনি। এমনকি প্রত্যন্ত বিভিন্ন এলাকা সম্পর্কে তার যেই ধারণা সেই ধারণা সেই এলাকার মানুষজনেরও নাই।

বাংলার নদী, দ্বীপ, প্রত্যন্ত চর এমন কোন এলাকা নাই যে তিনি ঘুরে ঘুরে মানুষের দুর্দশা দেখেননি। তিনি একই সাথে যেমন দলকে সংগঠিত করেছেন তেমনি দেশের কোন অঞ্চলে কোন কাজ করা দরকার সেটিও তার মাথার মেমোরিতে গেথে রেখেছেন । খুজে খুজে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি।

কাল দেখলাম অর্বাচীন রিজভি- ফখরুল নামক বাংলাদেশ না-ৎসি পার্টির গোয়েবলসরা বলছেন, “এমনভাবে কথা বলেন যেন মনে হয় পদ্মা সেতু তার বাপের টাকায় হয়েছে, দেশটা তার বাপের।”

আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নিউজ দেখলাম, বক্তৃতা দেখলাম কারও প্রতিবাদ দেখখাম না, হয়তো আমার চোখে পড়ে নাই, অবশ্যই প্রতিবাদ হয়েছে। তারা ভুলে যায় অথবা এটা মানতে নারাজ যে, বাংলাদেশের জন্য শেখ হাসিনা জাতির পিতার রেখে যাওয়া অমূল্য সম্পদ।

বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতি শুধু নয়, বাংলাদেশের জাতির পিতা। এই দেশের প্রতিটি ধূলিকণা, নদী, খাল- বিল, হাওর-বাওর সমগ্র ভূখন্ডের মানুষের কাছে সম্মানের পাত্র তিনি– শুধু পাকিস্তানপন্থী বিএনপি জামাত আর মুসলিম লীগের রেখে যাওয়া কুসন্তান গুলোই জাতির পিতাকে স্বীকার করে না, সবসময় তীর্যক মন্তব্য করাই তাদের কাজ। হিটলারের সঙ্গী গোয়েবলস এর সেই থিওরিই তাদের মূল মন্ত্র, একটা মিথ্যা দশ বার বললে সেটাই প্রতিষ্ঠিত হয়।

আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই কোভিডের ভয়াবহতম দুর্যোগ থেকে মহান আল্লাহ্‌ তার উসিলায় আমাদের রক্ষা করেছেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেন বাংলাদেশ শুধু শ্রীলংকা কেন পাশের দেশ ভারত পাকিস্তানের মতোও দুর্দশায় পর্যবসিত হবে না ইনশাআল্লাহ্‌।

শেখ হাসিনা এই দেশকে তার পিতার রেখে যাওয়া আমানত মনে করেন, জিয়া পরিবারের মতো লুটপাট আর অর্থপাচার তার নীতি নয়।

অনেক শুষীলরা আজকাল আমাদের উগ্র জাতিয়তাবাদী বলে, তারা জানেও না যে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতেই, পাকিস্তানকে খন্ডবিখন্ড করেই আমাদের জাতির অভ্যুদয়।


বিজ্ঞাপন