কম ক্ষতিগ্রস্ত মুদ্রার তালিকায় বিশ্বে দ্বিতীয় বাংলাদেশি টাকা

Uncategorized আন্তর্জাতিক

অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ঃ কোভিড-১৯ পরিস্থিতি শেষ হতে না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেরপ্রভাবে কয়েকটি তেল রপ্তানিকারী দেশ ছাড়া পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মূল্যমান ব্যাপকভাবে কমেছে।

সম্প্রতি ডলারের বিপরীতে নিজস্ব মুদ্রার মূল্যমান তুলনামূলক কম হ্রাস পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে এশিয়াসহ বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে আর বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে।

আর একই সময়ে কয়েকটি তেল রপ্তানিকারী দেশ ছাড়া পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান বেড়েছে।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে পরিচালিত এ গবেষণায় দেখানো হয়, কোভিড পরবর্তীকালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কয়েকটি তেল রপ্তানিকারী দেশ ছাড়া পৃথিবীর সবদেশেই ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মূল্যমান ব্যাপকভাবে কমেছে।

বাংলাদেশের মুদ্রারও মূল্যমান কিছুটা কমেছে। তবে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশি মুদ্রার মূল্যমান হ্রাসের পরিমাণ খুবই কম। নিজস্ব মুদ্রার মূল্যমান কম হ্রাস পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বে কম্বোডিয়া প্রথম আর বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গবেষণায় দেখানো হয়, বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান কমেছে ৩.৪১ শতাংশ।
ভারতীয় রুপির কমেছে ৬.৮৩ শতাংশ। পাকিস্তানি রুপির ৩০.৬৩ শতাংশ। নেপালি রুপির ৬.৪৮ শতাংশ। মিয়ানমার কিয়াটের ১২.৬৭ শতাংশ। চীনা উয়েনের ৫.৪ শতাংশ। টার্কিশ লিরার ৮৯.৩৭ শতাংশ।

ব্রাজিল এবং কয়েকটি তেল রপ্তানিকারক দেশ ছাড়া বিশ্বের প্রায় সব দেশের মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান বেড়েছে। যেসব কারেন্সির বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান বেড়েছে এর মধ্যে জাপানি ইয়েনের বিপরীতে ১৩.৮৬ শতাংশ। ইউরোর বিপরীতে ১০.৯৪ শতাংশ। ভারতীয় রুপির বিপরীতে ২.৭৩ শতাংশ। ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ৮.০৭ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিপরীতে ৬.৪৫ শতাংশ।

গবেষণায় দেখানো হয়, ডলারের বিপরীতে মাত্র দুটি দেশ রাশিয়া ও ব্রাজিলের মুদ্রার মূল্যমান বেড়েছে। রাশিয়ান রুবলের মূল্যমান বেড়েছে ১৯.০৫ শতাংশ আর ব্রাজিলিয়ান রিয়েলের বেড়েছে ৮.৯৭ শতাংশ।


বিজ্ঞাপন