নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গতকাল বৃহস্পতিবার ২৬ মে, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, জেলা গোয়েন্দা শাখা, ভোলার এস আই (নিঃ) মোঃ গোলাম আযমের নেতৃত্বে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে ভোলার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ভিকটিমের অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং ব্ল্যাক মেইলের মাধ্যমে ধাপে ধাপে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চাঞ্চল্যকর পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি শ্যামল আহমেদ (২৩) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জানায় যে, সে সৌদি আরবে ড্রাইভার হিসেবে চাকুরী করা কালীন গত ২০২১ সালের শেষের দিকে ফেজবুকে ফেক আইডি খুলে প্রফাইলে জনৈক মডেলের ছবি ব্যবহার করে এবং নিজেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেয়। উক্ত ফেক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে ভোলার এক তরুনীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে।
পরবর্তীতে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে আসামি বাংলাদেশে এসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উক্ত তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে। ভিকটিম তার প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে আসামি ভিকটিমের নাম ও ছবি ব্যবহার করে একটি ফেক ফেইসবুক আইডি খুলে এবং আসামির কাছে থাকা ভিকটিমের অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিওগুলো ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের মাঝে ছড়িয়ে দেয়।উক্ত ভিডিও ও ছবিগুলো ইন্টারনেট থেকে মুছে ফেলার আশ্বাসে ভিকটিমকে ব্ল্যাক মেইল করে ধাপে ধাপে অর্থ হাতিয়ে নেয়।ভিকটিমের পরিবার সামাজিক ভাবে অসহায় হয়ে ভোলা জেলার পুলিশ সুপারের স্মরণাপন্ন হয়।
পুলিশ সুপার ভোলা জেলার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, জেলা গোয়েন্দা শাখা, ভোলাকে দ্রুত সময়ে আসামি গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন। এ সংক্রান্তে ভোলা সদর থানার মামলা নং ৫৫, তারিখ-২৫/৫/২০২২, ধারা- পর্নোগ্রাফি আইন ২০১২ এর ৮(২)(৩)(৭) রুজু করা হয় এবং আসামিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ফেসবুকে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব স্থাপনে সর্তকতা অবলম্বন করা এবং এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে জেলা পুলিশের সহায়তা নেওয়ার জন্য ভোলা জেলার পুলিশ সুপার ভোলাবাসী কে অনুরোধ করেছেন।