নড়াইলের কালিয়া উপজেলার এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী গণধর্ষণের শিকারের অভিযোগে আটক ২

Uncategorized আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার ধর্ষণের শিকার ঐ মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী উপজেলার বুড়িখালি গ্রামের মোঃ মাসুম মোল্লার মেয়ে ছন্দনাম মরিয়ম খাতুন (১৩)। ধর্ষনের ঘটনায় কালিয়া থানায় ভুক্তভোগীর মা ছন্দনাম সীমা বেগম (৩ জুন) বাদি হয়ে তিন ধর্ষকের নামে মামলা করেন। ধর্ষনের আসামি’রা হলেন,উপজেলার বুড়িখালি গ্রামের গোলাম রসুল শেখের ছেলে নূর মোহাম্মদ ওরফে ইসলাম শেখ (১৯), মোঃ লাভলু মোল্লার ছেলে আশিক মোল্লা (২০), ও মোঃ শহিদুল গাজীর ছেলে মোঃ কালু গাজী (২১)। এ ধর্ষনের ঘটনায় কালিয়া থানা পুলিশ ইসলাম শেখ ও আশিক মোল্লাকে আটক করে জেল হাজতে পেরণ করেন। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,(২৮ মে) প্রতিবেশী আমিন শেখ এর বাড়িতে সুন্নাতি খাৎনা অনুষ্ঠানে ভুক্তভোগী ও তার মা ওই বাড়িতে বেড়াতে যান এবং,খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে ৩ধর্ষক মিলে কিশোরীর গায়ে থাকা ওড়না ছিনিয়ে নিয়ে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী বুড়িখালি নবগঙ্গা নদীর পূর্ব পাশের শন্তোষ পরামানিকের পতিত জমিতে নিয়ে পাল্টাক্রমে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করে ভুক্তোভোগী’র মা সীমা বেগম। ধর্ষক নুর ইসলাম ধর্ষণের ঘটনা মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলে ভিডিও ভাইরাল হয়। পরবর্তীতে ধর্ষনের ঘটনা পুলিশ জানতে পেরে,গতকাল ইসলাম শেখ ও আশিক মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনলে তারা ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করলে পরবর্তীতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রতনুজ্জামান জানান,গত ২৮মে শুক্রবার রাত ১১টার সময় উপজেলার বুড়িখালি গ্রামের গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে এ বিষয়ে গতকাল (২ জুন) বৃহস্পতিবার রাতে ওই গ্রামের মেম্বার থানায় ফোন করলে,আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করি এবং অভিযুক্ত ২ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি,এবং ধর্ষনকারী’রা ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা সীমা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষনের দায়ে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে নড়াইলের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।।


বিজ্ঞাপন
👁️ 7 News Views