নিজস্ব প্রতিবেদক : এ বছর বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ৭ লাখের বেশি কর্মী বিদেশ পাঠাতে পারবে সরকার। এ আশা প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
রোববার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস (আরবিএম) আয়োজিত নতুন বছরে সরকারের শ্রম বাজারের পরিকল্পনা’ নিয়ে মিট দ্য প্রেসে তিনি এ কথা বলেন।
প্রবাসীমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, আমরা লাখ লাখ কর্মীর কথা বলে থাকি। কিন্তু দক্ষ কতজন পাঠাচ্ছি? এখানে আমাদের আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। দক্ষ শ্রমিক বাজারে এলে আমাদের বাজারও বাড়বে। এজন্য আমাদের ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে ১৬৪টিতে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ও নির্বাচনী ইসতেহারে ছিলো প্রতি উপজেলা থেকে একহাজার দক্ষকর্মী পাঠাবো। কিন্তু আমাদের সব উপজেলাতে এখনও টিটিসি স্থাপন করতে পারিনি। এজন্য আমরা বাকি সবকয়টি উপজেলার জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে জমা দেওয়া হবে টিটিসি নির্মাণের জন্য।
তিনি বলেন, আমরা যে প্রশিক্ষণ দেই সেটা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণ না করলে ভালো ফল আসবে না। এজন্য আমরা আন্তর্জাতিক যেসব সার্টিফিকেট আছে সেগুলো নেওয়ার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আমাদের সার্টিফিকেটের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো হচ্ছে।
জাপানের বাজার নিয়ে ইমরান আহমদ বলেন, জাপানের মতো দেশ এখন আমাদের দেশ থেকে দক্ষকর্মী নিচ্ছে। তবে আমরা খুব কম সংখ্যা কর্মী পাঠাতে পারছি। কারণ জাপান শতভাগ ভাষা ও কাজে দক্ষ লোক নিতে চায়। এখানে হলো আমাদের চ্যালেঞ্জ দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, এই বাজারটি অনেকদিন ধরে খোলা হচ্ছে না। আমি চাই না আগের মতন পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা খরচ করে সেখানে যাক। আর জঙ্গলে লুকিয়ে থাকুক। আমরা সে ধরনের কোনো চুক্তি করিনি। আমাদের লক্ষ্য হলো সরকার যে রেট নির্ধারণ করে দেবে তা দিয়েই যেতে হবে। এই সরকার আসার পর মালয়েশিয়ার বাজার নিয়ে যে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কোনো ছোট অনিয়ম করলেও আমরা কাউকে ছাড় দিতে রাজি না। অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দেবো না। সিন্ডিকেট আমাদের সমস্যা না। আমাদের লক্ষ্য স্বল্প খরচে এক লাখ ৬০ হাজার টাকায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো।
ইমরান আহমেদ বলেন, সৌদি আরবে নারীকর্মীদের নিরাপত্তায় আমরা এখন অনেক শক্ত অবস্থানে আছি। গত ডিসেম্বর মাসে একজন নারীকর্মী দেশে ফিরেনি। বিদেশে নির্যাতিত হবে এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, এবছর আমরা বিদেশে প্রবাসীদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পাঁচটি স্কুল চালু করবো। এরমধ্যে আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে গ্রিসে স্কুল চালু হয়ে যাবে। এছাড়া ব্রাসেলসেও আমরা জায়গা পেয়ে গেছি। সেখানেও স্কুলের কাজ চলছে।