নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে পুলিশের অবদান ইতিহাসে সবসময় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। পুলিশ বাহিনী প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সাহসিকতা ও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। বিশেষ করে সড়ক নিরাপত্তায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। পথচারীসহ সকলের চলাচলে ট্রাফিক পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।’
রোববার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ মূল প্রতিপাদ্য ধারণ করে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ। ৫ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
অনুষ্ঠানে সকাল সাড়ে নয়টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ছালাম জানানো হয় এবং একই সঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোলা জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন করেন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে জনগণ তাৎক্ষণিক সুবিধা পাচ্ছেন। ফায়াস সার্ভিস কর্মীরাও বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।’
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারাই ২১ বছর সরকারে ছিল। এ সময় তারা দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে কাজ শুরু করে। এ সময় পুলিশের প্রত্যেকটি কাজে সাহসিকতা ও দক্ষতা দেখেছি।’
বিএনপি জামায়াতের জ্বালাও পোড়াওয়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী তাদের জীবনবাজী রেখে দেশের মানুষ ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা করেছে। এজন্য আমি পুলিশ বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশ থেকে আমরা জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি দূর করবো এবং তাই সরকার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে বিভিন্ন বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। এই বিনিয়োগ যাতে কোনভাবে বাধাগ্রস্ত না হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৪ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)- সেবা’ এবং ৫৬ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)- সেবা’ প্রদান করা হয়।