মো:রফিকুল ইসলাম,(নড়াইল) : নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আমেনা বেগমের নিজের ক্রয়কৃত জমি এবং আমেনা বেগমের স্বামী মৃত-ইব্রাহিম শেখ এর পৌত্রিক সম্পত্তি’র উপরে দীর্ঘদিনের বসবাসরত ঘর বাড়ি জোরপূর্বক,ভাংচুর ও লুটপাট করে রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাহাজান মির ও দুদু মির এর নেত্রীত্বে অভিযুক্ত সাইদ মোল্যাসহ তার লোকজন। অভিযোগকারী হালিমা খানম বলেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাহাজান মির ও দুদু মির এর নেত্রীত্বে সাইদ মোল্যা (১৫ মার্চ) সনিবার সকালে শতাধিক লোকজন নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের বসবাসরত ঘর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে।
এসময় আমি বসত বাড়ি ভাংতে নিষেধ করলে আমাকে মারধর করে এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় এবং আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যায়। পরে আমি জীবন বাচাঁতে জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে কিছু সময় পরে নড়াইল সদর থানার এস আই হাবিব আমাদের বাড়িতে এসে ভাংচুর করতে নিষেধ করলেও পুলিশের সামনে আবারো বাড়ি ঘর ভাংচুর শুরু করে।
এসময় পুলিশ সদস্য’রা সকলকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে। কিছু সময় পরে অভিযুক্ত সাইদ মোল্যা পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে রামচন্দ্রপুর ইট ভাটার মধ্যে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় আমি জীবনের নিরাপত্তার জন্য নড়াইল পুলিশ সুপারের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিলে,সাথে সাথে আমাদের সদর থানার ওসি সাহেবের কাছে পাঠিয়ে দেন ব্যবস্থা নিতে।
এসময় ওসি জমিজমার বিষয় কিছু করতে পারবেন না,বলে কোর্টে যেতে বলেন। হালিমা খানম অভিযোগ করে আরো বলেন,ঘর বাড়ি ভাংচুরের সময় আমি,আমার মা,আমার ভাবি নিষেধ করলে আমাদের উপরে মারধর করে এবং কানের দুল ও গলার চেইন,আংটি,নিয়ে যায় ও ঘরের মধ্যে থাকা নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে,ডৌয়াতলা গ্রামের দুদু মোল্যা’র ছেলে অভিযুক্ত সাইদ মোল্যা জানান,আমি আমেনা বেগমের সৎ ছেলের কাছ থেকে ওই জমি কিনে নিয়েছি। পরে ওই বাড়িতে আমি আমেনা বেগমের আগের পক্ষের এক ছেলেকে থাকতে দেই,কিছু দিন পরে আমেনা বেগম বাদি হয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করে,দীর্ঘদিন চলার পরে কোর্ট দুপক্ষের কাগজপত্র দেখে আমেনা বেগমের করা মামলা খারিজ করে দেন এবং আমাদের পক্ষে রায় দিলে আমি গ্রামের লোকজন নিয়ে আমার জমি দখল দিচ্ছি বলেও জানান।