নিজস্ব প্রতিবেদক : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, বাঙালির রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ চারু ও কারুকলা। চারুকলা বিষয়ক দক্ষিণ এশিয়ায় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত একটি প্রধান শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ঢাকা আর্ট সামিট। এ ধরনের প্রদর্শনী যেমন জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিনাশ করে মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটায়, তেমনি বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৫ম ঢাকা আর্ট সামিট ২০২০ সে ধরনের একটি নান্দনিক ও সৃজনশীল শিল্পকর্মের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত নয় দিনব্যাপী (৭ হতে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০) ‘৫ম ঢাকা আর্ট সামিট ২০২০’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষকে সামনে রেখে ৫ম ঢাকা আর্ট সামিটের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘খরমযঃরহম ঃযব ঋরৎব ড়ভ ঋৎববফড়স ইধহমধনধহফযঁ ঝযবরশয গঁলরনঁৎ জধযসধহ’ শীর্ষক বিশেষ প্রদর্শনী যেটি সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (ঈজও) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৪৪টির অধিক দেশ হতে আগত ৩২ জন কিউরেটর এর টিম এবং ৫০০ জন আর্টিস্টের অংশগ্রহণে এবারের আয়োজন গতবারের তুলনায় আরো বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেটি আন্তর্জাতিক পরিম-লে আমাদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিচ্ছে। একইসঙ্গে এ আয়োজন দেশে দেশে সংস্কৃতি ও মৈত্রীর বন্ধনকে দৃঢ় করতে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ‘৫ম ঢাকা আর্ট সামিট ২০২০’ এর অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান ফারুক সোবহান। স্বাগত বক্তৃতা করেন সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের কো-ফাউ-ার নাদিয়া সামদানী।