সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ফাঁদ পেতে গ্রেফতার শিকারি : টহলকালে  বিপুল পরিমাণ ফাঁদ, ছুরি ও করাত উদ্ধার | বন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :  পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালি অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বাইরে সুখপাড়া খালের পাশের বনাঞ্চলে হরিণ শিকারের উদ্দেশ্যে ফাঁদ পেতে বসার সময় মো. আরিফুল ইসলাম দুলাল (৩৫) নামের এক পেশাদার শিকারিকে হাতেনাতে আটক করেছে বন বিভাগের SMART পেট্রোল টিম-২।


বিজ্ঞাপন

সোমবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে কচিখালি অভয়ারণ্য কেন্দ্র থেকে পায়ে হেঁটে নিয়মিত টহলে বের হয় SMART টিম। টহলের একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই শিকারিকে ফাঁদ বসানোর সময় হাতেনাতে আটক করা হয়।


বিজ্ঞাপন

আটক আরিফুল ইসলাম দুলাল বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কোরাইল্যা গ্রামের বাসিন্দা। পিতার নাম আব্দুল খালেক (মিলন)।


বিজ্ঞাপন

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আটককৃত আসামির কাছ থেকে শিকারের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ মালামাল জব্দ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে রয়েছে শত শত হরিণ শিকারের মালা ফাঁদ, একটি করাত, একটি ধারালো ছুরি, প্রায় ২০০ গজ পলিথিন, ১০০ ফুট প্লাস্টিকের রশি, ১১টি খালি প্লাস্টিকের বস্তা এবং দুটি পাতিল।

উদ্ধারকৃত এসব আলামত তাৎক্ষণিকভাবে কচিখালি অভয়ারণ্য কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়েছে। বন আইন ১৯২৭ (সংশোধিত) এর অধীনে ধৃত শিকারির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন SMART পেট্রোল টিম-২ এর দলনেতা ফরেস্টার জনাব দিলিপ মজুমদার। তিনি বলেন, “সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের টিম সর্বদা সচেষ্ট। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও শিকার কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে এ ধরনের শিকার কার্যক্রম শুধু বন্যপ্রাণীর জন্যই নয়, গোটা বনজ ekosystem-এর জন্য হুমকিস্বরূপ। বন সংরক্ষণের স্বার্থে এ ধরনের তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তারা জানান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *