নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বাড্ডা গার্লস হাই স্কুল এর প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লা আল মামুন অধিক ভর্তি ফি গ্রহণ, পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফরম পুরণ ফি আদায়, পরীক্ষার পুরাতন উত্তরপত্র বিক্রি, শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য,শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির জন্যে ঘুষ আদায়,নন-এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের বেতন থেকে অনৈতিকভাবে টাকা কর্তন করে রাখা,স্কুলের ভবন নির্মানে টাকা আত্মসাত সহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে
গত মঙ্গলবার ৯ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে,এমপিও ভূক্তির পূর্বেই কলেজ শাখায় চাকরি দেয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে গড়ে ৫ লাখ টাকা করে নিয়েছেন।
অথচ এখন তাদের চাকরিও দিতে পারছেন না। আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। এবিষয়ে ভূক্তভোগিরা স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির নিকট লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। কিন্ত কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান ঘুষ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় দুইটি বহুতল বাড়ি, ছয়টি ফ্লাট এর মালিক বনে গেছেন। যা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ নয় বলে সংশ্লিষ্টগণ মনে করছেন।
অন্যদিকে স্কুলকে তার নিজের বাড়ি-ঘর বানিয়ে ফেলেছেন। চাকুরিবিধি অনুযায়ী সুযোগ না থাকলেও তিনি স্কুলের একটি ফ্লোর দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। স্কুলের স্টাফদের তিনি পরিবারের কাজে ব্যবহার করেন। তিনি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ইসলামীর আর্থিক পৃষ্ঠপোষক ।
অথচ এখন তার সকল অপকর্ম ঢাকতে নব্য আওয়ামী লীগ সেজেছেন। শিক্ষক সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা সেজেছেন।অনিবন্ধিত বাংলাদেশ প্রধান শিক্ষক সমিতি সংগঠনের নামে চাঁদাবাজী করছেন।
শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আব্দুল্লা আল মামুন এর মত দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে বহিস্কার করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ,ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
এবিষয়ে বাড্ডা গার্লস হাই স্কুল এর প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লা আল মামুন এর বক্তব্য নেয়ার জন্যে ফোন করলে তিনি রেসপন্স করেন নি।