রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের মিঠাপুকুরে ৫২ দিনের শিশু সন্তানকে হত্যার অভিযোগে মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত খালেদা বেগমকে গ্রেপ্তারের পর থানায় নেয়া হয়।
জানা যায়, খালেদা আক্তারের দুই মেয়ে। ৫২ দিন আগে তার কোলজুড়ে আসে আরও এক মেয়ে সন্তান। এতে নাখোশ হয় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তৃতীয়বারের মতো মেয়ে জন্ম দেয়ায় নানা অবজ্ঞা আর তিরস্কার সইতে হয় খালেদাকে। তার ওপর ওই মেয়ে নানা রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা করানোর সামর্থও নেই। উপায় না পেয়ে ৫২ দিনের কন্যা সিনথিয়া মণিকে নিজ হাতে ড্রামের পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেন খালেদা।
শুক্রবার সকালে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে মরদেহ দাফনের চেষ্টাও চলে। কিন্তু খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
সন্দেহভাজন হিসেবে মা খালেদাকে আটক করে পুলিশ। একপর্যায়ে নিজ সন্তানকে হত্যার কারণ বর্ননা করেন খালেদা আক্তার।
খালেদা আক্তার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের সুলতানের স্ত্রী।
মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, সুলতান-খালেদা দম্পতির আগের দুই মেয়ে আছে। তাই তৃতীয় মেয়ে সিনথিয়াকে নিয়ে শুরু থেকে খুশি ছিলেন না সুলতান। প্রতিদিন ঝগড়া হতো মেয়েকে নিয়ে। গতকাল শিশুটির বমি ও পায়খানা হলে তাকে ড্রামের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় খালেদাকে আটক করা হয়েছে।