নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সংসদ টেলিভিশনে শুরু হয়েছে মাধ্যমিকের ক্লাস সম্প্রচার। রোববার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ক্লাসের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
‘আমার ঘরে আমার ক্লাস’ শিরোনামে প্রতিদিন ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির আটটি ক্লাস সম্প্রচার হবে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই ক্লাস টিভিতে প্রচারিত হবে। এরপর দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একই ক্লাস পুনঃপ্রচার করা হবে। আগামীতে দশম শ্রেণির ক্লাসও সম্প্রচার করা হবে।
এটুআইয়ের সহায়তায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর এই ক্লাস সম্প্রচার করছে। এরই মধ্যে মাউশি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে চলতি সপ্তাহের বিস্তারিত ক্লাস সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাস রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রতিটি শ্রেণির দুটি করে ক্লাস সম্প্রচার করা হবে। ক্লাসের ব্যাপ্তি হবে ২০ মিনিট। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ৯টা ৫ মিনিট পর্যন্ত জাতীয় সংগীত প্রচার করা হবে।
ক্লাস সূচি থেকে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস সকাল ৯টা ৫ মিনিট থেকে ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত, সপ্তম শ্রেণির ক্লাস সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত, অষ্টম শ্রেণির ক্লাস সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত, নবম শ্রেণির ক্লাস সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্লাসগুলো পুনঃপ্রচার করা হবে। পরবর্তী ক্লাস রুটিন আগামী ১ এপ্রিল মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, পাঠদানকারী শিক্ষক ক্লাস শেষে পাঠদানকৃত বিষয়ের ওপর বাড়ির কাজ দেবেন। প্রতিটি বিষয়ের জন্য শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা খাতায় তারিখ অনুযায়ী বাড়ির কাজ সম্পন্ন করবে। স্কুল খোলার পর নিজ নিজ স্কুলের নির্দিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকের কাছে বাড়ির কাজ জমা দিতে হবে। এই বাড়ির কাজের ওপর প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘ব্যানবেইস’, মোবাইল ফোন কোম্পানি ‘রবি’ এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডিওতে এরই মধ্যে দুই শতাধিক ক্লাস রেকর্ডিং করা হয়েছে। ক্লাস নিতে আগ্রহী শিক্ষকদের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদনও আহ্বান করেছে মাউশি অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রথম দফায় ৩১ মার্চ এবং দ্বিতীয় দফায় ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।