নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট) : বিদেশি মদের চালান সহ প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যানের নাতি ও তার সাথে মাদক কারবারে জড়িত থাকা অপর সহযোগিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ র্যাব। সোমবার আলামত সহ মামলা দায়ের পূর্বক দুই মাদক কারবারিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন,তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি গ্রামের প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান শফিক মিয়ার ছেলে মন্টু মিয়া, তার সহযোগি একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সাগর আহম্মেদ। গ্রেফতার মন্টু ওই ইউনিয়নের কাউকান্দি গ্রামের প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিকের নাতি।

অভিযোগ রয়েছে গেল কয়েকবছর ধরে প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিকের ছেলে শফিক পারবিারীকভাবে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার কথা বলে (মাসোহারা কন্ট্রাক) তার দুই ছেলে, স্ত্রীর সহযোগিতায় এলাকায় খুচরা পাইকারি ভাবে ভারতীয় সেখ নাসির বিড়ি, মাদক, ইয়াবা,গাঁজা বিক্রির একটি বলয় তৈরী করে বিদেশি মাদক, গাঁজা, ইয়াবা, অতিরিক্ত নিকোটিনযুক্ত আমদানি নিষিদ্ধ সেখ নাসির বিড়ি কারবারের প্রসার ঘটায়।

সোমবার সন্ধায় র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) কে , এম শহিদুল ইসলাম ওই তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাবের মিডিয়া অফিসার আরোও জানান,র্যাব-৯ সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের একটি টিম সোমবার ভোররাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের কাউকান্দি গ্রামে অভিযান চালায়।
ওই অভিযানে শফিকের বসতঘর থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৭১ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। ওই সময় মাদক কারবারে জড়িত থাকায় শফিকের ছেলে মন্টু ও তার সহযোগি সাগরকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৯ সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের অপর একটি টিম রোববার মধ্যরাত পরবর্তী সময়ে সদও উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের সীমান্তগ্রাম নৈগাং এ অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ৬ থেকে ৭জন মাদক কারবারি ৬টি প্লাষ্টিকের বস্তাভর্তি বিদেশি মদের চালান ফেলে কৌশলে পালিয়ে যায়।
এরপর র্যাবের টিম বস্তাখুলে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৮২০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করে। দুটি অভিযানে জব্দকৃত মদের সরকারি মুল্য প্রায় ৬ লাখ ১৫ হাজ্রা টাকা।