ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। রাতারাতি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০৬টি দেশের ১২ লাখের বেশি মানুষ। রোববার সকালে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিভিন্ন দেশের ৫১২ জন মানুষ। অথচ শনিবার দুপুরেও বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ১৭ হাজার ৮৮২ জন।
কিন্তু রোববার সকালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ১২ লাখ ১ হাজার ৯৬৪ জন। এদের মধ্যে শনিবার গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৮শ জন।
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ অব্ধি মারা গেছেন মোট ৬৪ হাজার ৭২৭ জন। এদের মধ্যে শনিবার গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন মোট ৫ হাজার ৮০১ জন।
এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, একদিনে মোট ১৩৩১ জন।
এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছে ফ্রান্স, অর্থাৎ ১০৫৩ জন। আর স্পেনে মারা গেছে ৭৪৯ জন, ইতালিতে ৬৮১, যুক্তরাজ্যে ৭০৮, জার্মানিতে ১৬৯ এবং ইরানে মারা গেছে ১৫৮ জন।
শনিবার সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে, ৩৪ হাজার ১৯৬ জন। শুক্রবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল মোট ৩২ হাজার ৯৪১ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর শনিবার সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্তের তালিকায় রয়েছে ইউরোপের ৫ দেশ- স্পেন (৬৯৬৯), জার্মানি (৪৯৩৩), ইতালি (৪৮০৫), ফ্রান্স (৭৭৮৮) ও যুক্তরাজ্য (৩৭৩৫)। এসব দেশে শনিবার আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৮ হাজার ২৩০ জন। এই সংখ্যা গত দিনের চেয়ে বেশি। শুক্রবার এই পাঁচ দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৭ হাজার ৭৬৫ জন মানুষ।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন আর ২৫৬০ জন। সবমিলিয়ে এই মুহূর্বে বিশ্বের ২০৬টি দেশের মোট ১২ লাখ ১ হাজার ৯৬৪ জন মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৩ জন। এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও প্রায় ৯ লাখ মানুষ (৮ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৯ জন)। এদের মধ্যে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন ৪২ হাজার ২৯০ জন মানুষ। আর করোনায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর হার ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। এই হার গত দিনের চাইতে বেশি। গত শনিবার বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যুর হার ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
প্রসঙ্গত গত ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ চীনের হুবেইপ্রদেশের রাজধানী উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। চীনে ইতিমধ্যে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে মার্চের শুরুর দিক থেকেই সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করেছে। উহানের পরিস্থিতিও অনেক উন্নত হয়েছে। যে কারণে দীর্ঘ দু মাস ধরে অবরুদ্ধ থাকার পর শনিবার শহরটি আংশিকভাবে খুলে দেয়া হয়েছে।