ডিবি  হারুনের অপকর্মের সহযোগী পুলিশের ৫ কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ভর করেছিলেন। বিশেষ করে পুলিশ ও র‌্যাব দিয়ে বিরোধী মতের ওপর অতিরিক্ত শক্তিপ্রয়োগ করে দমন-নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। যে যত বেশি বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের দমন ও নিপীড়ন চালিয়েছে তাকে দ্রুত পদোন্নতি ও পদকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ। তিনি ডিবিতে কথিত ভাতের হোটেল খোলেন। এই ভাতের হোটেলে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সেলিব্রেটি পারসন, চলচ্চিত্র-নাটকের নায়ক-নায়িকা, শিল্পপতি-ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নানা পেশার লোকজনকে তার সঙ্গে বসে খেতে দেখা গেছে। তাদের খাইয়ে কৌশলে এসব ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ছাড়তেন। তার ভাতের হোটেলের খপ্পরে পড়েন খোদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।


বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, ডিবিতে তার পঞ্চপাণ্ডব বলে ৫ জন কর্মকর্তা পরিচিত ছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম ডিবির মতিঝিল জোনের এডিসি রফিকুল ইসলাম। তিনি হারুনের ডান হাত বলে পরিচিত। তিনিও ৫ আগস্টের পরে পলাতক আছেন। হারুন ওই রফিকুলকে দিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করাতেন। জমি দখল ও টাকা উদ্ধারে পারদর্শী ছিলেন রফিকুল। বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে ধরে নিয়ে নির্মম মারধর করেছিলেন রফিকুল। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের বাসায় গিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন এই রফিকুল।


বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, হারুনের পঞ্চপাণ্ডবের আরেকজন হলেন সাইবার বিভাগের নাজমুল আলম। কিছুদিন আগে তার নামে একটি প্রতারণার মামলা হয়েছে। তিনি মামলার পর পলাতক আছেন। তার নামে পরিকল্পিতভাবে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, যেসব ইউটিউবারের ভিউ বেশি ছিল তাদের তিনি ডিবিতে ডেকে তার নামে ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি নিজের নামে করাতেন। নওগাঁর এক ইউটিউবার ডিএমপি কমিশনার বরাবর এমন একটি অভিযোগ দিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, হারুনের অন্যতম সহযোগী ছিলেন শাহেন শাহ। তিনি বিএনপি ও জামায়াতের লোকজনকে বিভিন্ন অজুহাতে ধরে নিয়ে টাকা আদায় করতেন। ৫ আগস্টের পর তিনি জেল হাজতে গেছেন। তার নামে ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রায় ২০টিও বেশি অভিযোগ পড়েছে।


বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, হারুনের অন্যতম সহযোগী ছিলেন ৩০তম ব্যাচের এডিসি মনিরুল ইসলাম। হারুনের টাকা পাচারে তিনি বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এছাড়া মাফিয়া এস আলমের যোগাযোগ ছিল এই মনিরুলের সঙ্গে। সূত্র জানায়, হারুনের অন্যতম আরেক সহযোগী ছিলেন এডিসি আসমা আরা জাহান। তিনি ডিবি-মাতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দেড় বছর আগে আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাদা মহিউদ্দিনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া ৩৪ কোটি টাকার ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন হারুন ও আসমা। পরে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার এর সমাধান করেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *