নিজস্ব প্রতিবেদক : জাকির হোসেন ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা আক্তার সোমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
এই মামলায় ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত মোঃ জাকির হোসেনের সহায়তায় তার স্ত্রী আয়শো আক্তার সোমা ওরফে মোসাঃ সোমা বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় ৪,৬৩,১৩,৩০০/- টাকার আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্নভাবে সম্পদ অর্জন করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক একটি মামলা রুজু করা হয় ( দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর মামলা নং – ২০, তারিখ ১৭.১২.২০১৯)।
মামলাটি তদন্তের জন্য সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলামকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তিনি যথারীতি তদন্ত সম্পন্ন করে সাক্ষ্য স্মারক বা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী আসামি আয়শো আক্তার সোমা ওরফে মোসা: সোমা একজন গৃহিণী। তার নামে আলাদা আয়কর নথি থাকলেও তার নিজস্ব কোন আয়ের উৎস নেই। ফলে আসামি মোসা: সোমা তার স্বামী মোঃ জাকির হোসেনের সহায়তায় স্বামীর অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৫,০১,১৫,১৬৪/- টাকার সম্পদ নিজেদের ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমশিন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং উক্ত অবৈধ সম্পদের অবৈধ উৎস গোপন বা ছদ্মাবৃত্ত করার লক্ষ্যে স্থানান্তর/রুপান্তর/হস্তান্তর করত মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি (১) আয়েশা আক্তার সোমা ওরফে মোসাঃ সোমা এবং তার স্বামী আসামি (২)মোঃ জাকির হোসেন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা তৎসহ দন্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় চার্জশিট দাখিলের সুপারিসজ করে সাক্ষ্য স্মারক বা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। উক্ত দাখলিকৃত প্রতিবেদব কমিশনে উপস্থাপন করা হলে আসামি আয়শো আক্তার সোমা ওরফে মোসাঃ সোমা এবং তার স্বামী আসামি মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ৫,০১,১৫,১৬৪/- টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা হস্তান্তর রূপান্তরে মাধ্যমে অবস্থান গোপন করায় কমিশন কর্তৃক চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন প্রদান করা হয়।