নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ মুজিবুর রহমান যখন বঙ্গবন্ধু হননি, বলা যেতে পারে তার কিশোর বয়স থেকেই আমি তাকে জানি। সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে তাকে প্রথম দেখি কলকাতায়। তখন ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সে। রাজনীতিতে সোহরাওয়ার্দীর খ্যাতি যখন তুঙ্গে, সেই সময় থেকে ছাত্রকর্মী ছাত্রনেতা হিসেবে মুজিবুর রহমানকে আমি চিনি। নেতা হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত হয়েছে মুজিবুর রহমান। কিন্তু আমার কাছে আমার ছোট ভাইয়ের মতোই ছিল সে। বরাবর আমাকে ‘আপা’ বলে সম্বোধন করেছে। কাছে গেছি, মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছি। তারপর একই পাড়ায় থাকার কারণে মুজিবের সঙ্গে আমার একটি পারিবারিক সম্বন্ধের মতো গড়ে উঠেছিল।
মুজিবের কথা বলতে গেলে মুজিবের স্ত্রীর কথাও বলতে হয়। এত ধৈর্যশীল, এত শান্ত, এত নিষ্ঠাবতী নারী খুব কমই দেখা যায়। বছরে ১২ মাসের মধ্যে বেশির ভাগ সময় মুজিবের কেটেছে জেলে। যখনই শুনেছি মুজিবকে ধরে নিয়ে গেছে, ছুটে গিয়েছি। দেখেছি মুজিবের স্ত্রী অবিচল মুখে কাপড়, বিছানা, বালিশ গুছিয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। বলেছে, আপনার ভাই তো জেলে গেছে। বেচারি খুব ধৈর্যের সঙ্গে সংসারটাকে টেনেছে। বাপকে জেলে নিয়ে গেছে বলে কোনো স্কুলে হাসিনাকে ভর্তি করবে না, এমনও দিন গেছে। নারী শিক্ষা মন্দিরে আমরা তাকে ভর্তি করে নিলাম। তখন নারী শিক্ষা মন্দিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলাম আমি।