ডাঃ সাঈদ আহম্মেদ সিদ্দিকী : সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যান বিভাগের সহিত মত বিনিময়ে বাংলাদেশ ইউনানী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন -২০২১ এর কিছু ধারা ও উপধারা সমূহ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। বিষদ আলোচনার পর জানা যায় ফখরুল ইসলাম মুন্সির নেতৃত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির বেশির ভাগ প্রস্তাবই এই আইনের স্থান পেয়েছে। খসড়া আইনে ইউনানি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মৌলিক কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল।
চুড়ান্ত খসড়া আইনে ১. ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক সকল চিকিৎসকগন তাদের নিজস্ব রোগীর জন্য ঔষধ তৈরি করে রোগীকে দিতে পারবেন।
২. বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত ২৩ ধারা (ডিপ্লোমা) ও ২৪ ধারা (বি-ক্যাটাগরী) অধীনে নিবন্ধিত সকল ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের নিবন্ধন কাউন্সিলের আওতাধীন হবে এবং কাউন্সিল কর্তৃক নবায়ন হবে।
৩. সকল শ্রেণীর ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকগন ডাক্তার/ডাঃ লিখতে পারবেন।
৪. এই আইনে কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যাচেলার ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের দীর্ঘদিনের দাবী প্রতিষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয়ের অনুমোদনের পর এই আইনটি চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে যাবে। আশাকরি খসড়া আইনটি সংসদে চুড়ান্ত অনুমোদিত হয়ে আইনে পরিনত হলে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক সকল শ্রেণীর (ব্যাচেলর,ডিপ্লোমা ও বি-ক্যাটাগরী) চিকিৎসকগন উপকৃত হবেন। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে কেউ যেন আমাদের অর্জনকে ছিনিয়ে নিতে না পারে। আসুন আমরা সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে কাধে কাধ মিলিয়ে এই সেক্টরের উন্নয়নে এক সাথে কাজ করি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।