নিজস্ব প্রতিনিধি : শনিবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় কোতোয়ালি মডেল থানা চত্বরে আয়োজিত ওপেন হাউজ ডে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মাননীয় পুলিশ কমিশনার বিএমপি, মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার মহোদয়।
এসময় তিনি পূর্ববর্তী মাসের ওপেন হাউজ ডে’তে ভুক্তভোগীদের উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের সমাধান কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে সে বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। অতঃপর ‘ওপেন হাউজ ডে’তে আগত সকল সেবা প্রত্যাশীর সমস্যা দীর্ঘ সময় ধরে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ-সময় তিনি জাতীয় জীবনে মার্চ মাসের তাৎপর্য তুলে ধরতে গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভির শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, এই মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস। কারন এই মার্চেই ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে জাতির পিতার কণ্ঠে ধ্বনিত সেই ভাষণকে ইতোমধ্যে ইউনেস্কো কর্তৃক মেমোরি অব দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করে “বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, এই মার্চেই আমাদের মুক্তির দূত হিসেবে জাতির পিতা পৃথিবীতে এসেছিলেন, আবার এই মার্চেই রয়েছে আমাদের ভয়াল কাল রাত্রির দুঃসহ স্মৃতি, এই মার্চেই আমাদের স্বাধীনতা দিবস, এই মার্চেই রয়েছে আমাদের আরো একটি অনবদ্য অর্জন। আর তা হল বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তি যা আমরা ইতিমধ্যে সারাদেশব্যাপী একযোগে উদযাপন করেছি। একটি দেশেকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে যাওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, নিয়ন্ত্রনে রাখা। যা আমরা প্রায় সফলভাবে করতে পেরে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে চলছি।
এসময় তিনি সম্প্রতি এই শহরের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জের টেনে অপরাধীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অপরাধীদের যত রং বেরঙের পরিচয়-ই থাকুক না কেন; এই শহরে অপরাধ করলে কাউকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবেনা।
তিনি আরো বলেন, রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-ঝঞ্ঝা যা-ই থাকুক না কেন; যদি একজন সেবা প্রত্যাশী ও ওপেন হাউজ ডে’তে আসে তবে ওপেন হাউজ ডে চলমান থাকবে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত অতিঃ পুলিশ কমিশনার বিএমপি প্রলয় চিসিম পুলিশি সেবা কে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং এর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিট পুলিশিং কে আরো বেশি কার্যকর করার জন্য আপনাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে তথ্য দিয়ে বিট অফিসারের সাথে সমন্বয় সাধন করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ ফজলুল করিম, সহকারি পুলিশ কমিশনার বন্দর থানা ও কোতোয়ালি মডেল থানা (চলতি দায়িত্ব) শারমিন সুলতানা রাখী, সহকারী পুলিশ কমিশনার ডিবি নরেশ কর্মকার, সহকারি পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক রবিউল ইসলাম শামীম, অফিসার ইনচার্জ কোতোয়ালি মডেল থানা নুরুল ইসলাম-পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আসাদুজ্জামান, সকল অফিসার ও ফোর্সবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সহ সকল শ্রেণী পেশার লোকজন।