নিজস্ব প্রতিনিধি : জেলা পরিষদ, গাইবান্ধা’র চেয়ারম্যান-এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রাজস্ব বাজেটের ভ্রমণ ভাতা ও চিকিৎসা ভাতার অর্থ উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রংপুর এর সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার এ অভিযান পরিচালিত হয়। দুদক টিম সরেজমিনে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা এবং তদসংযুক্ত বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখে। ভ্রমণ ভাতা ও চিকিৎসা ভাতার অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি রেকর্ডপত্রের আলোকে সঠিকতা যাচাই এবং জেলা পরিষদের আওতাধীন বিভিন্ন সরকারি জায়গার ইজারা ও বিভিন্ন ব্যয় সংক্রান্ত খরচের বিল ভাউচারে অসংগতি রয়েছে মর্মে দুদক টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়া, অভিযোগের সত্যতা উদঘাটনে এনফোর্সমেন্ট টিম জেলা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলেছে। জেলা পরিষদের অনুকুলে সরকারি বরাদ্দের অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়েছে কি-না; এবং কোন খাতে কি পরিমান অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তা পর্যালোচনা করে। অভিযানকালে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জেলা পরিষদের অনিয়মসমূহ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জেলা পরিষদ হতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক বিস্তারিত পর্যালোচনা করে সে বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের অনুমতি চেয়ে কমিশন বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।
সিলেট জেলার কানাইঘাট পৌসভার মেয়র, সহকারী প্রকৌশলীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে আজ আরও একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এছাড়া, এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য সচিব, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জিএম, বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল), পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, প্রকল্প পরিচালক, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প বরাবর দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।