নিজস্ব প্রতিনিধি : করপোরেশনের বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী একজন পরিপূর্ণ সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
২৯ এপ্রিল দুপুরে ঢাদসিক এর প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ঢাদসিকের বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (প্রনিক) এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী ও অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অনিক) মো. শাহীনুর আলমের বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ মন্তব্য করেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমি তাঁকে পরিপূর্ণভাবে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা হিসেবে পেয়েছি। একটি বিষয়, শুধু সৎ হলেই সবাই কাজে ভালো হয়না, দক্ষ হয়না। সমন্বয়ের অভাব দেখা দেয়। কিন্তু তিনি যেমনি সুচারুভাবে সমন্বয় সাধন করেছেন তেমনি তার দক্ষতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে চলেছিলেন।”
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “কিছু কিছু ব্যক্তিত্ব – সেটা রাজনৈতিক হোক কিংবা সরকারি কর্মকর্তাই হোক – আমরা বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন জায়গায় যায়। কিন্তু ব্যক্তি যাওয়ার আগে তাঁর পরিচিতি, তাঁর ভালো কথা বা তাঁর প্রশংসা যদি আগে পৌছায়, তাহলে বুঝা যায় যে, সেই ব্যক্তিত্বের অতীত ভালো এবং তা নানাভাবে প্রকাশিত হয়।”
বিদায়ী প্রনিক এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী করপোরেশনে যোগদানের আগেই তাঁর কর্মদক্ষতা ও সততা সম্পর্কে সুবাতাস পেয়েছিলেন জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “তিনি স্বশরীরে আসার পরে দেখেছি, যে সুবাতাস আমি পেয়েছিলাম সেটা আসলে সত্যি ছিলো। তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে, দক্ষতার মধ্যমে ও কর্মতৎপরতার মাধ্যমে তা পরিপূর্ণভাবে প্রমাণ করেছেন।”
এ সময় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বিদায়ী প্রনিক এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এবং আনিক-৫ আগামী দিনেও উচ্চতর দায়িত্ব পালনে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার প্রতিফলন রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
বিদায়ী প্রনিক এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, “আমি সবসময় তিনটি বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করেছি – বিবেকের কাছে জবাবদিহিতা করা, যে চেয়ারে অধিষ্ঠিত হয়েছি তার প্রতি বেঈমানী না করা এবং যাদের জন্য কাজ করছি তাদের সাথে বেঈমানী না করা।”
করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জানের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, আনিক-২ সোয়ে মেন জো, আনিক-৪ হায়দার আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম স্মৃতিচারণ করেন।