নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার বিকেলে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এর আগে সকালের দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর আবেদনের বিষয়ে মতামত দেয় আইন মন্ত্রণালয়। বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামির বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।এরপর সে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী তাদের (খালেদা জিয়ার ভাইয়ের) আবেদন মঞ্জুর করতে পারছি না। আইন অনুযায়ী যতটুকু করণীয় ততটুকু করেছি। কিন্তু আইনের বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করতে পারি না।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরো আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ২৪এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে ২৭এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
গত সোমবার সকালের দিকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে গত বুধবার বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে তার পরিবার। ওইদিন রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় আবেদনটি দিয়ে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। এরপর সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর তিন মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। এরপর খালেদা জিয়া আর কোনো দেশে যাননি।
যদিও আবেদন পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন সরকার আবেদনটি ইতিবাচকভাবে দেখছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও বিষয়টি নিয়ে সরকার আন্তরিক বলে দাবি করেছিলেন।