নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। রোববার ১০টা থেকেই বিভিন্ন ব্যাংকে প্রবেশের জন্য লাইন ধরে দাঁড়ান গ্রাহকরা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাইনও দীর্ঘ হয়। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, আর ব্যাংকের ভেতরে তাদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদকেন্দ্রিক গ্রাহকদের উপস্থিতি বেশি। গ্রাহকের বেশিরভাগই নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে এসেছেন। ঈদ যে দিনই হোক, আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ মে ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রাহকের কথা চিন্তা করে মঙ্গলবার ও বুধবার ব্যাংক খোলা থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিনের রেওয়াজ হলো, ঈদের আগের দিন ব্যাংক বন্ধ থাকে। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রম হয়েছে। ঈদ ১৩ তারিখ হলেও তার আগের দিন (১২ মে) ব্যাংক খোলা থাকবে।’ ফলে ঈদের আগে আরও দুই দিন মঙ্গলবার ও বুধবার ব্যাংক খোলা থাকছে।
এদিকে মতিঝিল ডাচ বাংলা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আবদুল সালাম বলেন, ‘সময় যত গড়াচ্ছে, গ্রাহকের চাপ ততই বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ গ্রাহকই এসেছেন টাকা তোলার জন্য।’ সকাল ১০ থেকেই গ্রাহকদের প্রচ- চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে শুধু রাজধানীর মতিঝিল নয়, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। একই অবস্থা তৈরি হয়েছে এটিএম বুথগুলোতেও।
মতিঝিল এলাকার বেসরকারি ব্যাংক এশিয়ার গ্রাহক রহমত আলী বলেন, ‘আমি সকাল ১০টার দিকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ১১টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ঈদের কেনাকাটা করার জন্য ব্যাংকে টাকা তুলতে এসেছি।’
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাছের বলেন, আজ পবিত্র শবে কদরের জন্য ব্যাংক বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার ও বুধবার (১১) ব্যাংক খোলা। তবে ১৪ মে যদি ঈদ হয়, সে ক্ষেত্রে বুধবার (১৩ মে) কেবল পোশাক শিল্প ও রফতানি সংশ্লিষ্ট লেনদেন হয় এমন সব ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে।’
এদিকে ঈদের আগে তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য এবং রফতানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্যাংক শাখা ১০ মে এবং ১৪ মে ঈদ সাপেক্ষে ১৩ মে খোলা রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।