নিজস্ব প্রতিনিধি : হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার। যিনি দেশের সর্ব কনিষ্ঠ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। দুই বছর আগে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হারিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক ভোটে। দেবীগঞ্জের জনগণ যে প্রত্যাশা নিয়ে সদ্য পড়াশোনা শেষ করা এক তরুণীকে ভোট দিয়েছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করছেন রিতু আক্তার।
করোনা মহামারীর এই কঠিন সময়ে বিভিন্ন উপহার-সামগ্রী ও ত্রাণ নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন দশ ইউনিয়নে। জানা গেছে, গরীব মেহনতি মানুষের এক অকৃত্রিম বন্ধুতে পরিণত হয়েছেন রিতু আক্তার। অসহায় মানুষের প্রতি ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধের কারণে চেয়ারম্যান থেকে রিতু হয়েছেন মেয়ে। দিনরাত যখনই সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ছেন সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন রিতু আক্তার।
এলাকাবাসীরা জানান, ‘মাইটাক ভোট দিয়া হামরা ভুল করি নাই। যেলায় ডাকাছি দৌড়ি আইসেছে। ঘরের ছাওয়ার মতো হামারলার বগলোত থাকে সবসময়। উপজেলা পরিষদ অফিসোত গেলেও ভালো ব্যবহার করে। পাইসা ছাড়ায় তামান কাম করা যায়। এমন চেয়ারম্যানই বারবার দরকার। আল্লাহ ছাওয়াটার ভালো করুক।’
জানা গেছে, করোনার শুরুতেই বিভিন্ন সরকারি ত্রাণ নায্যতার ভিত্তিতে গরীব-অসহায় মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন। কখনো কেউ বাদ পড়লে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও ত্রাণ সমাগ্রী দেয়ার কথা শোনা গেছে। এছাড়াও তার রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে হাসপাতাল পরিদর্শন। প্রতিদিন হাসপাতালে গিয়ে সেখানে থাকা অসুস্থদের খোঁজ-খবর নেন। ডাক্তার-নার্সদের চিকিৎসার তাগিদ দেন। এছাড়াও রাত-বিরাতে কেউ অসুস্থ বা বিপদে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে ছুটে যান। অসহায় কোনো নারী বা মহিলা নিপীড়ণের শিকার হলে তাদের আইনি সহায়তা ও দিক-নির্দেশনাও দেন।
করোনাকালিন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে ফ্রি মাস্ক বিতরণ এবং জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারেও উৎসাহিত করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার। দেশে করোনার প্রকোপের শুরু থেকেই একাধিকবার বাজার, হাসপাতাল এবং উপজেলার বিভিন্ন হাটে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন উঠান ও খুলি বৈঠকে গ্রামীণ জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শ দিতে দেখা গেছে রিতু আক্তারকে।
এ ব্যাপারে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার বলেন, আমি রাজনীতি করি জনগণের কল্যাণের জন্য। মানুষ অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে ভোট দিয়েছে। আমি নিজের সবটুকু উজাড় করে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ণের মহাসড়কে বাংলাদেশকে উঠিয়েছেন, সেখানে মাঠ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার একজন কর্মী হিসেবে সবসময় জনগণের পাশে আছি।