দিনে দিনে বাড়ছে চাপ
বিজ্ঞাপন
বিশেষ প্রতিবেদক : প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকের দানা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় হাইড্রোজেন সায়ানাইড। এতে বাতাসের সঙ্গে এই গ্যাস ছড়ানোর কারণেই মৃত্যু হতে পারে যে কারো। কিন্তু অগ্নি নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে ২৯টি দাহ্য পদার্থের তালিকা নেই প্লাস্টিকের দানা। এতে নিমতলী ট্র্যাজেডির পর এক দশকেও অগ্নিঝুকি কমেনি পুরান ঢাকায়।
২০১০ সালের তেসরা জুন নিমতলিতে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের একদশক পর ২০১৯ সালে পুড়ে ছাই হয় চকবাজারের চুরিহাট্টা। কেবল রাসায়নিকের গুদাম নয়, লাইটার, পারফিউম রিফিল ও দাহ্য জাতীয় পদার্থের মজুদও পুরান ঢাকায় বারবার আগুনের অন্যতম কারণ। এছাড়া ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সংকীর্ণ রাস্তা আগুন নেভানো ও উদ্ধার কাজের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়।
ফলে পুরান ঢাকার অলিগলি রূপ নিচ্ছে মৃত্যুপুরীতে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পুরান ঢাকা থেকে ২৯টি দাহ্য পদার্থ সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিলেও তালিকায় নেই প্লাস্টিকের দানা বা দাহ্য কাঁচামাল। অথচ প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকের দানা তৈরিতে ব্যবহৃত মূল কাঁচামাল পেট্রোলিয়াম হওয়ায় এবং পেট্রোলিয়াম দাহ্য পদার্থ হওয়ায় অগ্নিকান্ডে বাতাসের সংস্পর্শে এসে কার্বন ডাই অক্সাইডের সাথে মিশে হাইড্রোজেন সায়ানাইড তৈরি করে। যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে সমর্থ হওয়ায় আগুন নেভাতে পানি বা বালু কোনটিই কার্যকর নয়, বলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগ।
ফায়ার সার্ভিস বলছে ঘণবসতিপূর্ণ ও সড়ক সংকীর্ণ হওয়ায় কারখানা বা গুদামের জন্য অনুপোযুক্ত এলাকাটি।
দিনে দিনে পুরান ঢাকার চাপ বাড়ছে। সেই সংঙ্গে বাড়ছে কারখানা ও গুদামের সংখ্যা। এবং বৈদ্যুতিক তারেরও ব্যবহার। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় পুরান ঢাকার ধরন অনুযায়ী পরিকল্পনার তাগিদ সব মহলের।