বাংলা চলচ্চিত্রে দুই নায়ক আমিন খান, মান্না

বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলা চলচ্চিত্রে দুই সময়ের দুই নায়ক হলেও এদের সফলতা আসে একই সময়ে।বলছি আমিন খান ও মান্নার কথা।একজনের আবির্ভাব ঘটে আশি দশকের প্রথম দিকে আর একজনের অভিষেক ঘটে নব্বই দশকের প্রথম দিকে।
মান্নার তুলনায় সুদর্শন হিরো আমিন খানের শুরুটা গুরুত্ববহ ও সম্মানজনক ছিলো। আমিন খানের একক নায়ক চরিত্রে অভিষেক ঘটে “অবুঝ দুটি রিদয়”ছবিতে।তার ২য় ছবি দুনিয়ার বাদশা” তাতেও কেন্দ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার ৩য় ছবি রিদয় থেকে রিদয়” তাতেও কেন্দ্রয় চরিত্রে ছিলেন।


বিজ্ঞাপন

পক্ষান্তরে মান্নার শুরুটা ছিলো অবহেলিত ও অপমানজনক। নায়করাজ রাজ্জাকের অনুরোধে “তওবা” ছবিতে ৩য় সারির নায়ক হয়ে মান্নার অভিষেক ঘটে। তারপর ১৯৮৯ সাল পযন্ত ২য় সারির নায়ক হয়ে থাকতে হয়েছে।এই সব ছবিতে তার অস্তিত্ব নাই বললেও চলে। সেই হিসাব করলে নব্বই দশক থেকে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়। এই হিসাব করলে আমিন খান ও মান্না নব্বই দশকের নায়ক। মধ্য নব্বইতে আমিন খানের তুলনায় মান্না এগিয়ে ছিলো। কাজি হায়াতের কিছু ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পায়।


বিজ্ঞাপন

আমিন খান ও মান্নার জনপ্রিয়তা বাড়ে একবছর আগে পরে।তাদের দুইজনের সফলতা আছে একই ব্যক্তির উপড় নির্ভর করে।তার নাম মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
মান্নাকে নিয়ে ১৯৯৮ সালে মনোয়ার হোসেন ডিপজল তেজী ছবি করে। তার পর মান্নার উত্থান শুরু হয়।তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। একের পর এক ছবি করতে থাকে। তার ঠিক ডের বছর পর সেই মনোয়ার হোসেন ডিপজল আমিন খান কে নিয়ে “তের গুন্ডা এক পান্ডা ছবি করে। তারপর থেকে আমিন খানের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। একের পর এক ছবি করতে থাকে।মান্নার প্রতিদন্দি আমিন খান হয়ে যায়।বছরে মান্না ১০টি ছবি করলে আমিন খানেও ১০/১২টি ছবি রিলিজ পেতো।দুই জনই একশান ছবি করত। সেই সময় মান্নার থেকে আমিন খানের ছবিতে একশান বেশি থাকত।মান্নার ছবি হিট করাতে গেলে দামী দামী নায়কা নেওয়া লাগত। মৌসুমি,শাবনুর,পুর্নিমা ছাড়া তার ছবি হিট হত না। আর আমিন খানের ক্যারিয়ার এতই চাংগা ছিলো যে যে কোন ২য় সারির নায়িকা নিয়ে ছবি হিট করিয়ে দিতো। তার ছবিতে মৌসুমি, পূর্নিমার দরকার পড়তো না।এদিক থেকে মান্নার তুলনায় আমিন খান এগিয়ে ছিলো। ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পযন্ত তারা সমান তালে অভিনয় করে গেছে। সেই সময় চলচ্চিত্রে অশ্লিলতা বিরাজমান। প্রথম দিকে তারা দুইজন অশ্লিলতায় গাঁ ভাসিয়েছিলো। মান্না ফায়ার ছবির মত বিতর্কিত অশ্লিল ছবি করে টিকে ছিল আর আমিন খান ভয়াবহ”মত অশ্লিল ছবি করেছে। আমিন খান ও মান্না দুইজন একই ক্যাটাগরির নায়ক।আমিন খান মান্নাকে তার লেভেলের ভাবতো।

মান্না গুন্ডা নাম্বার ওয়ান বানালে আমিন খান মাস্তান নাম্বার ওয়ান বানাইতো।মান্না বিদ্রোহী সালাউদ্দিন বানাইলে আমিন খান বিদ্রোহী রাজা বানাইতো। মান্না ইমানদার মাস্তান ছবি করলে আমিন খান করেছে আমি গুন্ডা আমি মাস্তান। মান্না খবর আছে তো আমিন খানের ছবি গরম খবর,বুকের পাঠা,দাদাগিরি। দুইজনই কেউ কারো থেকে কম ছিল না।তাই নির্মাতারা সেই সময় তাদের দুইজনকে একসাথে ছবিতে নিতে পারিনি।

আমিন খান শীর্ষক নায়ক থাকাকালীন একশান কিং হিরো রুবেলের কয়েকটি ছবিতে সাইট নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছে কিন্তু মান্নার সাথে সাইট নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে নারাজ। তাই বলা হয়েছে ২০০০ সালের পর মান্না একাই ছিলো না। সেই সময় আমিন খানও ছিল।তারা দুইজন একই ধারার নায়ক ছিলো। একই রকম উচা লম্বা ছিলো। দুইজনের হাইট সমান ছিল।তারা দুইজনে স্যাম টু স্যাম ছিল।