কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে ঢাকা ফাঁকা

রাজধানী

আজকের দেশ রিপোর্ট : সারাদেশে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের ১ম দিনে রাজধানী ঢাকা শহরের রাস্তাগুলো দেখা গেছে একেবারে ফাঁকা। গণপরিবহন ও পথচারীদের চলাচল ছিল না চোখে পড়ার মতো, শুধুমাত্র একমাত্র বাহন হিসেবে রিকশার দখলে ছিল রাজধানীর রাজপথ। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে রাজধানীর সড়কগুলোতে লকডাউনের চিত্র অবলোকন করা হয়।


বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউন ১ম দিনে রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ এলাকা একেবারে ফাঁকা দেখা গেছে। নগরবাসীরা কিছুটা শঙ্কিত হয়ে ঘরের বাইরে বের হওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। তবে, অফিসগামী ও জরুরি প্রয়োজনে কিছু সংখ্যক মানুষকে ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়।


বিজ্ঞাপন

জানা যায়, রাজধানীর নিম্নবিত্ত এলাকার কর্মজীবী মানুষেরা কঠোর লকডাউনের কারণে বেশ হতাশা প্রকাশ করেন। এ কারণে কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, চকবাজার, রায়েরবাজার, হাজারীবাগ, আজিমপুর, বাবুবাজার, বংশাল ইত্যাদি ঘনবসতি এলাকার কর্মজীবী মানুষদের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিষন্ন অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গেছে।

আরো জানা যায়, রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা খ্যাত ধানমন্ডি, কাওরানবাজার, তেজগাঁও, মগবাজার, মহাখালী, ফার্মগেট, গুলশান ইত্যাদি এলাকায় কঠোর লকডাউনের ১ম দিন উক্ত বাসিন্দারা ঘরের বাহিরে বের হননি। যেহেতু, এলাকাগুলোতে উচ্চবিত্ত মানুষের বসবাস সেহেতু, তাদের আর্থিক দৈন্যতা নিম্নবিত্তদের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল, তাই তারা বের হওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।

এ বিষয়ে বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনকে আমরা সবাই সাধুবাদ জানাই। এর পাশাপাশি এ শহরে যারা খেটে খাওয়া ও হতদরিদ্র মানুষ তাদের বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রাখেন। তাহলে, কঠোর লকডাউন কর্মঠভাবে বাস্তবায়ন শতভাগ সফল হবে মনে করেন তারা। কেননা, কর্মজীবী মানুষেরা যখন সময়মত তার কর্মটি করতে পারবেন না। তখন তার আর্থিক সঙ্কট দূর হওয়ার সুযোগ থাকবে না। ফলে তারা আর্থিক দৈন্যতাও পড়বেন না।

তারা জানান, গত দেড় বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও লকডাউন চলমান থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন লাখো হতদরিদ্র মানুষ। ইতিমধ্যে, আমাদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে পড়েছে স্থবির, চাকরি চলে গেছে। শহরে বসবাসকারী অধিকাংশ নিম্নবিত্তরা গ্রামে চলে গেছেন।

তারা আরো জানান, আমরা আশা প্রকাশ করি করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি যেমন মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। তেমনি খাদ্যসংকটে হতদরিদ্র মানুষেরও মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই হিসেবে সরকার দুটোকেই সমান্তরালভাবে বিবেচনা করে নিম্নবিত্তদের দৈনন্দিন কাজকর্ম স্বাভাবিক করার জন্য সে সুযোগ করে দেবে।