নিজস্ব প্রতিবেদক : “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিলগ্ন থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতোমধ্যে জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল গতকাল সোমবার ১৬ জুন, সন্ধ্যায় ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন মজিদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুটি মাদক মামলায় মোট ১২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ও অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইন এবং মাদক সহ সর্বমোট ১৫ টি মামলার পলাতক আসামী রুহুল আমিন (৪৫), জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, আসামী একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার ও টেকনাফ সহ সীমান্তবর্তী জেলা হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য ক্রয় করে ঢাকা মহানগরীসহ আন্তঃজেলায় বিক্রয় করত।

তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালে জামিনে বের হয়ে ছদদ্মবেশ ধারণ করে দেশের বিভিন্ন স্বানে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিল। অন্যদিকে বিচার শেষে বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামীকে পৃথক দুটি মামলায় ৬ বছর করে মোট ১২ বছরের সাজা প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামী পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় অধিযাচন পত্রের মাধ্যমে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল আসামীকে গ্রেফতারে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীকে গ্রেফতার করে।
পিসিপিআর যাচাই করে দেখা যায়, উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীর উত্তরা পূর্ব এবং ভাষানটেক থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইন এবং মাদকসহ সর্ববোট ১৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।