বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানীর শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, জুরাইনের পানি সমস্যা দীর্ঘদিনের। দিনে দিনে সেই সমস্যা ছড়িয়েছে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, রামপুরা, খিলগাঁও, উত্তরা হয়ে পুরো নগরী।
এই পানিতে পোকামাকড়ের পাশাপাশি রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, বিষাক্ত অ্যামোনিয়া। এছাড়া পাওয়া গেছে মলের জীবানুর অস্তিত্ব। যাদের সাধ্য ও সামর্থ্য আছে তারা দূর থেকে সংগ্রহ কিংবা কিনে পান করছেন পানি। সাধ্যের গ-ি পেরোতে না পেরে অনেকে বাধ্য হয়ে পান করছেন এই দূষিত পানি।
নগরবাসীর অন্তহীন অভিযোগেও ওয়াসার টনক না নড়ায় তা গড়ায় আদালতে। ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনি ঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত পানির আটটি নমুনাতে দূষণ পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি। ঝুঁকিপূর্ণ ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আটটি নমুনাতে পাওয়া যায় প্রচ- মাত্রার দূষণ।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজধানীর মানুষ।
বেশি ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে পাইপের সাহায্যে আসা পানিতে। পাইপ সংস্কার কিংবা পরিবর্তন এক যুগেও করতে দেখেনি শনির আখড়া ও জুরাইনের বাসিন্দারা।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার না করলেও এর জন্য ব্যবহারকারীদের উদাসীনতা আর সড়ক খোঁড়াখুঁড়িকে দায়ী করলেন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দূষিত এবং ময়লা পানির প্রভাবে নষ্ট হচ্ছে বাড়ির দেয়াল, কাপড়-চোপড়। শহরের বাসিন্দারা প্রত্যাশা করছেন শিগগির এই সমস্যার সমাধান হবে।