নিজস্ব প্রতিবেদক : তারা ছিলেন পানির পাম্পে অপারেটরের দায়িত্বে। কিন্ত পাম্পে ডিউটি করেন নি। কেউ করেছেন নেতাগিরি। কেউবা ব্যক্তিগত সহকারী নিয়োগ দিয়ে কাজ করিয়েছেন। বাবুগিরি করে মাস শেষে বেতন নিয়েছেন। পাম্পে পানির পাইপে তো পানি ওঠে; টাকা তো ওঠেনা। টাকা ওঠে রাজস্ব খাতে। রাজস্ব খাতে টাকা ওড়ে; তো যেভাবেই হোক তা ধরতে হবে। উড়ে বেরানো টাকা ধরতে হলে রাজস্ব পরিদর্শক হতে হবে। চলতি দায়িত্ব নেয়ার অপশন আছে। চ:দা: অপশনে নানা চেষ্টা তদবির করে রাজস্ব পরিদর্শকের দায়িত্ব নিয়ে ওড়া টাকা ধরার মিশনে নেমেছেন। সফলও বটে। রাজস্ব খাতে আসার পর বাড়ি, ফ্লাট, প্লট, গাড়ি সবই হয়েছে। ব্যক্তিগত সহকারী দিয়ে সাইট পরিচালনা করান। স্যুটেট বুটেট হয়ে গাড়ি হাকিয়ে ওয়াসা ভবনে তাসরিফ আনেন। সিবিএ অফিসে বসে নেতাগিরি করেন। দলবাজী ও তদবির বাণিজ্য করেন।
সূত্রমতে, ২৯/৮/২০১৯ তারিখে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এক অফিস আদেশ বলে(স্মারক নং-৪৬.১১৩.১২.০০.০০.০১৬.২০১১/৬৯০) বিভিন্ন মড্স জোনে কর্মরত ৩৫ জন পাম্প অপারেটর(পিও) কে সম্পূর্ণ সাময়িকভাবে রাজস্ব পরিদর্শক পদে(চলতি দায়িত্বে) প্রদান পুর্বক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
তাছাদ্দুক হোসেন(মড্স জোন-১), মো: আশকার ইবনে শায়েক(মড্স জোন-১), মো: আতাউল করিম(মড্স জোন-৫), মো: আখতারুজ্জামান মোড়ল(মড্স জোন-১), এএইচএম জাকির হোসেন(মড্স জোন-৬), মো: ইস্্রাফিল মোল্লা(মড্স জোন-২), মো: দেলোয়ার হোসেন(মড্স জোন-৬), মো: গোলাম মোস্তফা মিয়া(মড্স জোন-৬), মো: আহসান হাবিব খান(মড্স জোন-১), মো: নুরুল ইসলাম খান(মড্স জোন-১), মো: শামছুজ্জামান(মড্স জোন-২), মো: বদিউল আলম(মড্স জোন-৪), মো: আশরাফুল আলম(মড্স জোন-৪), মো: মেহেদি হাসান টিপু(মড্স জোন-৬) মো: সিদ্দিকুর রহমান(মড্স জোন-৮), মো: বদরুল আলম(মড্স জোন-১), মো: রেজাউল হক(মড্স জোন-১), মো: আজিজুর রহমান মন্ডল(মড্স জোন-৩), মো: রমিজ উদ্দিন ভুইয়া(মড্স জোন-৩), মো:শাহ আলম(মড্স জোন-১), মো: আব্দুস সালাম(মড্স জোন-৭), মো:সাইফুল ইসলাম(মড্স জোন-১০), মো: নুরুল ইসলাম(মড্স জোন-১),মো: আব্দুল কাদের(মড্স জোন-১), মো: খোরশেদ আলম(মড্স জোন-১),মো: শাহ আলম(মড্স জোন-৫), মো: সফিকুল ইসলাম মজুমদার(মড্স জোন-১), মো. হাকিম(মড্স জোন-১), মো: কামরুজ্জামান(মড্স জোন-২), মো: বাবুল ইসলাম(মড্স জোন-২), শীতল চন্দ্র বর্মন(মড্স জোন-১), মো: রবিউল আলম(মড্স জোন-৩), মো: মাহমুদুল হাসান সাঈদ(মড্স জোন-৯), মো: হুমায়ুন কবির(মড্স জোন-৫) ও মো: আব্দুল আউয়াল(মড্স জোন-৬) কে স¦ স্ব মড্স জোন থেকে বিভিন্ন রাজস্ব জোনে রাজস্ব পরিদর্শকের চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, উক্ত অফিস আদেশে আরো সংযুক্ত করা হয় যে, “উল্লিখিত ৩৫জন কর্মচারীর কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত কর্মচারীর রাজস্ব পরিদর্শকের চলতি দায়িত্ব বাতিল বলে গণ্য হবে”।
অফিস আদেশে সংযুক্ত শর্ত ৩৫ জনেই লংঘন করেছেন। সকলেই ব্যক্তিগত সহকারী/ডুপলি দিয়ে সাইট পরিচালন করেন। বহিরাগত দিয়ে কাজ করানো সম্পূর্ণ বেআইনী ।৫ জুলাই ২০১৮ ইং তারিখে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এক আদেশের মাধ্যমে বহিরাগত নিয়োগ নিষিদ্ধ করে। যার স্মারক নং রা/৮২০২ প্র:রা:ক:-৫/৭/২০১৮ইং।
এছাড়া, মিটার টেম্পারিং, আন্ডার বিলিং,গ্রাহকদের চাপ প্রয়োগ করে উৎকোচ আদায় সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ৩৫ জনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের বিবরণ সম্বলিত পৃথক আমলনামা ক্রমাগত।