নিজস্ব প্রতিবেদক : নাগরিকদের সকল ক্ষেত্রে তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার নিমিত্তে সরকার তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন করে। তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন ও তদারকির জন্যে সরকার তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। আইনী বাধ্যবাধকতা অনুযায়ি সকল সরকারি,আধা-সরকারি ও স্বায়ত্ত্ব শাষিত প্রতিষ্ঠানে তথ্য কর্মকর্তার পদ সৃজন করা হয়েছে। কোন নাগরিক যে কোন প্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রাপ্তির জন্যে( আইনে নির্ধারিত কিছু তথ্য ছাড়া) আবেদন করলে আইন অনুযায়ি ২০ কার্য দিবসের মধ্যে তথ্য প্রদানে বাধ্য। কোন কারনে তথ্য দেয়া সম্ভব না হলে আবেদনকারিকে চিঠি দিয়ে জানাতে হবে। চাহিত তথ্য প্রদান না করলে সংক্ষুব্ধ আবেদনকারি দপ্তর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আপিল করতে পারবেন। সেখানেও প্রতিকার না পেলে তথ্য অধিকার আইন অনুসরণ করে তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করার বিধান রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে তথ্য কর্মকর্তা আছেন তবে তথ্য চেয়ে আবেদন আমলে নেয়না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, ৯/৬/২০২১ তারিখে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তথ্য চেয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন। ২০ কার্য দিবস গত হলেও তথ্য কর্মকর্তা কোন তথ্যও প্রদান করেনি। আবার কেন তথ্য প্রদান করা যাবেনা তাও চিঠি দিয়ে জানায় নি। এমনকি আবেদনকারি তথ্য কর্মকর্তাকে বারাবার টেলিফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
সূত্রমতে, সমবায় সমিতি দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ(কালব) এর মালিকানাধিন কালব রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এ মদের বার স্থাপনের জন্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে লাইসেন্সের জন্যে আবেদন করেছে। আবেদনকারি তথ্যকর্মকর্তা বরাবর আবেদনে, ” কোন ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী মদের বার করা যায় কিনা তার আইনী ব্যাখা ও লাইসেন্সের শর্ত পূরনের জন্যে কালব প্রদত্ত প্রফাইল সমগ্র” চেয়েছেন। কিন্ত কি কারনে তথ্য কর্মকর্তা আবেদনে রেসপন্স করেন নি তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে তথ্য কর্মকর্তার বক্তব্য জানার জন্যে পত্রিকা অফিস থেকে টেলিফোন করলে তিনি রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য, আবেদকারি প্রতিকার চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ১৮/৭/২০২১ তারিখে ই-মেইলে আপিল দায়ের করেছেন।