বিশেষ প্রতিবেদক : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক রবিবার ৩ অক্টোবর ঢাকা সহ সারাদেশে অভিযান ও বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেট, টাউনহল বাজার এবং ধানমন্ডি এলাকায় অধিদপ্তরের ৫টি টিম কর্তৃক পরিচালিত
অভিযানে বাজারে চিনি, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য, পণ্য ক্রয়-বিক্রয় রসিদ, পণ্যের মূল্য তালিকা পরিবীক্ষণ করা হয়।
এসময় ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।
পাশাপাশি বিভিন্ন সুপারশপ, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসী এবং রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করে আমদানীকারকের তথ্যবিহীন অননুমোদিত পণ্য ও ঔষধ সংরক্ষণ, মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট সংরক্ষণ, মোড়কজাতকরন বিধি লংঘন, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যপণ্য তৈরি ও সংরক্ষণসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১,৬৮,০০০/- জরিমানা করা হয়।
ঢাকাসহ সারাদেশে অধিদপ্তরের ৩০টি টিম কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ভোক্তা স্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ৭২টি প্রতিষ্ঠানকে ৪,৯৮,০০০/- (চার লক্ষ আটানব্বই হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, ক্যাবসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন।
এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা নিত্যপণ্যসহ অন্যান্য সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের আইন মেনে এবং নীতি-নৈতিকতা বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনার আহবান জানান।
ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় অধিদপ্তর সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে বলেও তিনি জানান।
সুনামগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি : রবিবার ৩ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জ মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে জামালগঞ্জ উপজেলার কলকতাখা বাজার এলাকায় তদারকি করা হয়।
তদারকিকালে ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, মূল্য তালিকা টানানো ও নিয়মিত হালনাগাদ করা এবং ক্রয় বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
ভোক্তা অধিকার বিরোধী অপরাধে ৬ টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে সহায়তা করে র্যাব ৯ এর একটি টিম, বাজার কমিটির, সদস্যবৃন্দ।
জনস্বার্থে এরুপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মুন্সীগঞ্জে ফার্মেসি, বেকারি ও হোটেল পরিদর্শন : রবিবার ৩ অক্টোবর বিকাল ৫ টায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জ জেলা কার্যালয় কর্তৃক মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার হাসপাতাল রোড ও কাচারি এলাকায় অভিযান কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দোকানে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করায় মিলন মেডিসিন কর্নার কে ৫০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।
নাজমা বেকারিতে মনিটরিং কালে দেখা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ ফ্লেভার ও চেরিফল ব্যবহার করে কেক ও বিস্কুট তৈরি করা হচ্ছে। কেকে উতপাদনের তারিখ মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, ওজন, মূল্য কিছুই উল্লেখ করা হচ্ছে না।
রান্নাঘরে ডাস্টবিন উন্মুক্ত ভাবে রাখা হচ্ছে। নাজমা বেকারিকে ৫০০০/- জরিমানা করা হয়।
খাদ্যদ্রব্য রাস্তার পাশে উন্মুক্ত ভাবে প্রদর্শন ও বিক্রয় করায় জাহাঙ্গীর হোটেল কে ১০০০/- জরিমানা করা হয়।
মোট ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১১,০০০/- জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।
জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর গাজী মোহাম্মদ আমিন ও ব্যাটালিয়ন আনসার মুন্সীগঞ্জ এর একটি টিম অভিযানে সহযোগিতা করেন।