নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে শোকের মাস উপলক্ষ্যে কৃষক লীগের রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা রক্ত দিয়ে গেছেন। তিনি বলেছিলেন প্রয়োজনে তিনি রক্ত দিবেন, ঠিকই তিনি রক্ত দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তার রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে, যখন কোন একটি ভালো কাজ হয়, দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হয় তখন আমি চিন্তা করি আমার আব্বার আত্মাটা শান্তি পায়। নিশ্চয়ই তিনি বেহেস্ত থেকে দেখেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শ, তার লক্ষ ও চিন্তা চেতনাকে বাস্তবায়ন করে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য ক্ষমতায় এসেছি। কতটুকু পেরেছি বাংলার মানুষ তা বিচার করবেন।
সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডেঙ্গুর প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমি কতগুলো নির্দেশনা দিয়েছি। আমি মনে করি আমাদের পার্টির মানুষ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে মশার বংশ বিস্তার যাতে না হতে পারে এর যথাযথ পদক্ষেপ নেবে এবং নিজেদের, পরিবারকে সুরক্ষিত রাখা, ঘরবাড়ি, সুরক্ষিত করা হয় সেজন্য সকলকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
স্বেচ্ছায় রক্ত দানের পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শোকের মাস বারবার আমাদের মধ্যে ফিরে আসে আর বারবার আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা কি হারিয়েছি। আজকে শোকের মাসের প্রথম দিন। আমাদের আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন গুলো নানা কর্মসূচি পালন করেছে। সেই অনুযায়ী কৃষক লীগ রক্তদান ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি করছে।
তিনি বলেন, মুমূর্ষু রোগীর জীবন রক্ষায় ত্যাগ স্বীকার যেকোনো মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, মানবতার। ১৫ আগস্ট সামনে রেখে রক্তদান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। রক্ত দিলে রক্ত কমে না বরং বাড়ে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দলের সকল নেতাকর্মী, মুজিব আদর্শকে যারা বিশ্বাস করে। আমি তাদেরকে আহ্বান করবো, রক্ত দান করতে। আর্তমানবতার সেবায় আত্মত্যাগ করা প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। এ থেকে যে তৃপ্তি পাওয়া যায়, যে আনন্দ পাওয়া যায়- ভোগে তা পাওয়া যায় না।
দলীয় সকল নেতাকর্মীকে তিনটি করে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকে এই দিনকে শুধু রক্তদান কর্মসূচি নয়, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি ঘোষনা করছি। জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত আমরা নানারকম বন্যা-খরার মুখোমুখি হয়, এই বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশে আরও ব্যপকভাবে বৃক্ষরোপন করতে হবে।
তিনি বলেন, ৮৪-৮৫ সাল থেকে আমরা বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপন করুন। জন প্রতি অন্তত পক্ষে তিনটি করে বৃক্ষ রোপন করবেন। একটি বনজ, একটি ভেষজ এবং একটি ফলজ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি প্রমুখ।