বিশেষ প্রতিবেদক : দীর্ঘ দশ বছরেও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দেশের সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেল গঠনে উচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি আজও। সোনাগাজীর নুসরাতসহ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তা দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তার দাবি, এ বছরের মধ্যেই সারা দেশে কার্যকর কাজ করা হবে। এদিকে কমিটিতে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও দায়িত্ববানদের রাখার দাবি জানান নারী নেত্রীরা।
যানবাহন, শপিংমল, রাস্তা-ঘাট কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোথাও নিরাপদ নয় নারী। সাম্প্রতিক সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের দ্বারা একের পর এক যৌন হয়রানির ঘটনায় উদ্বিগ্ন সবাই। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা একটি সুন্দর শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের দাবি জানায়।
২০০৯ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য যৌন প্রতিরোধ বিষয়ক পাঁচ সদস্যে একটি কমিটি গঠনের উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলেও তা এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাস্তবায়ন হয়নি। তবে আন্ত:শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আশ্বাস দেন, চলতি বছরের অক্টোবর থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করে তা কার্যকর করা হবে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ার মু. জিয়াউল হক বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে প্রধান করে আমরা এ কমিটি গঠন করছি।
এ ক্ষেত্রে আর নারী নেত্রীরা প্রতিরোধ কমিটিতে দায়িত্বশীলদের রাখার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম বলেন, নিরপেক্ষ লোকদের এ ধরণের দায়িত্ব দেয়া উচিত। দেশে মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৯৯ ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৫৮৯। যেখানে পড়া- লেখা করছেন লাখ লাখ শিক্ষার্থী। ছেলে কিংবা মেয়ে উভয়েরই নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশে শিক্ষার্জনের অধিকার রয়েছে। তাই মানব গড়ার কারখানাকে সব ধরনের সহিংস আচরণ থেকে মুক্ত রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিতে করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্রুত এ সেল গঠন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।