বিশেষ প্রতিবেদক : গ্যাং কালচারের নামে দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কিশোররা। স্কুল-কলেজপড়ুয়া এসব কিশোর জড়িয়ে পড়ছে- খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজির মতো অপরাধে। ২০১৭ সালে উত্তরায় দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে স্কুলছাত্র আদনান নিহত হওয়ার পর গ্যাং কালচারের অন্ধকার দিক সামনে আসে।
প্রান্ত নামে এই কিশোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখাচ্ছে কিভাবে ‘ডিস্কো বয়েজ’ নামে একটি গ্যাংয়ের সদস্যদের আঘাত করতে হবে। সে নিজেও একটি গ্যাংয়ের সদস্য।
তার এমন অভিব্যক্তিই বলে দেয় কতোটা হিংস্র হয়ে উঠছে ‘গ্যাং কালচার’ এর সঙ্গে যুক্ত কিশোররা। গ্যাং কালচার’র মাধ্যমে প্রান্তর মতো এমন অনেক কিশোর জড়িয়ে পড়ছে অপরাধের সঙ্গে।
২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি উত্তরায় ‘ডিসকো বয়েজ’ ও ‘বিগ বস’ নামে দুই গ্যাংয়ের বিরোধের জেরে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্ক্রু ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় স্কুলছাত্র আদনান কবিরকে।
রাজধানীতে গড়ে উঠেছে ৫০ থেকে ৬০টি কিশোর গ্যাং। দেয়ালে নিজেদের কোড লিখে এলাকাও ভাগ করে নিয়েছে তারা। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে।
কারও বয়সই ১৮’র বেশি না। কেউ পড়াশোনা করে কেউ করে না। বেপরোয়া স্বভাব চলাফেরা উগ্র। এরই মধ্যে বিভিন্ন ঘটনায় আলোচনায় এসেছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা। এ বছর ৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বেশ কয়েকজনকে সাজাও দেয়া হয়েছে। গ্যাং কালচার’র বিরুদ্ধে নিজেদের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
তবে কেবল শাস্তি দিয়ে এর সমাধান করা যাবে না বলে মনে করেন অপরাধবিজ্ঞানী ড. জিয়া রহমান।