চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৫ভাগ
বিশেষ প্রতিবেদক : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা) নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকার ভেতরে আছেন ৩৪৪ জন আর ঢাকার বাইরে ৪৩৯ জন। এর আগের দিন ( ২ সেপ্টেম্বর) রোগী সংখ্যা ছিল ৮৬৫ জন, তার আগের দিন ছিল ৯০২ জন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের হিসাব থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ১০ শতাংশ কমেছে। নতুন ভর্তি হওয়া ৭৮৩ রোগীর বিপরীতে একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৬৮ জন। ঢাকায় ভর্তি হওয়া ৩৪৪ জনের বিপরীতে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৪১০ জন আর ঢাকার বাইরে ভর্তি হওয়া ৪৩৯ জনের বিপরীতে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৫৫৮ জন।
ডা. আয়শা আক্তার আরও বলেন, ঢাকায় বর্তমানে মোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ১১১ জন আর ঢাকার বাইরে মোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৬৩৫ জন। এর বিপরীতে সারাদেশে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা রোগীর সংখ্যা শতকরা ৯৫ শতাংশ।
কন্ট্রোল রুমের হিসাব থেকে জানা যায়, চলতি মাসে মোট আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৬৪৮ জন। এর আগের মাসে অর্থ্যাৎ আগস্টে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ৫২ হাজার ৬৩৬ জন, জুলাইতে ১৬ হাজার ২৫৩ জন, জুনে এক হাজার ৮৮৪ জন, মে মাসে ১৯৩ জন, এপ্রিল মাসে ৫৮ জন, মার্চে ১৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮ জন আর জানুয়ারিতে ৩৮ জন।
কন্ট্রোল রুম আরও জানায়, তাদের কাছে ঢাকার ভেতরের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ১২টি হাসপাতালের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি আছেন ৪১৩ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৯৫ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি ৭৮ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯৮ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৩৬ জন, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৪৭ জন, বিজিবি হাসপাতালে আছেন ৬ জন, সম্মিলিত সামরীক হাসপাতালে ৫২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১২৪ জন, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে সাত জন এবং পঙ্গু হাসপাতালে ১২ জন ভর্তি আছেন। অপরদিকে ঢাকার ভেতরে ২৯টি বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি আছে ৫৬৩ জন। ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় ভর্তি থাকা মোট রোগীর সংখ্যা ৩৫৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে আছেন ৭১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ২৯৯ জন, খুলনা বিভাগ জেলাগুলোর হাসপাতালে ৪৬৮ জন, রাজশাহী বিভাগ হাসপাতালগুলোতে ১৩৩ জন, রংপুর বিভাগের হাসপাতালে ৫৬ জন, বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ২২০ জন এবং সিলেট বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন ৩০ জন।