দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে ঘুষের ৩০ হাজার টাকাসহ দুই সরকারি কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ধরেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তারা হলেন দিনাজপুর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মো. আনোয়ার পাশা ও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ক্যাশিয়ার ফেরদৌস হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুরে মামলা হয়েছে।
দুদক জানায়, সম্প্রতি মো. ফরহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তার বাবা মো. খলিলুর রহমান তুলা উন্নয়ন বোর্ডের গো-পালক পদে চাকরি করতেন। ২০১২ সালে অবসরে যান তিনি। মারা যান ২০১৬ সালে। জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি তুলা উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ দেননি। এর ফলে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল হিসাব দেখিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পেনশন কম দেন। এ নিয়ে কথা বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। কারণ, ঘুষের বিনিময়েই কেবল ইচ্ছাকৃত এই ভুল সংশোধন করা হবে বলে ফরহাদকে জানিয়ে দেন জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর আনোয়ার পাশা।
দুদক জানায়, সর্বশেষ গত আগস্টে আনোয়ার বিষয়টি নিয়ে ফরহাদকে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ক্যাশিয়ার ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফরহাদকে বলা হয়, তার বাবার পেনশনের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পেতে হলে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হবে। এ অবস্থায় আনোয়ার ও ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা দেন ফরহাদ। কিন্তু বাকি টাকা দেওয়া না হলে কাজ হবে না বলে জানিয়ে দেন তারা। পরে ফরহাদ বিষয়টি দুদককে জানান।
সেই অনুযায়ী রোববার ফাঁদ পাতে দুদক। তাদের পাতানো ফাঁদে ঘুষের ৩০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন আনোয়ার ও ফেরদৌস।
দুদক জানায়, সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের টিম জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে তাদের।