বদরগঞ্জ পৌরসভা, রংপুর এর মেয়র ও কক্সবাজার বড়ো মহেশখালী ইউপি’র ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্যর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

Uncategorized আইন ও আদালত

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে সোমবার ৫টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বদরগঞ্জ পৌরসভা, রংপুর এর মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল এর বিরুদ্ধে যাবতীয় কাজ টেন্ডার আহ্বান না করে ঘুষের বিনিময়ে পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে করানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, রংপুর-এর সহকারী পরিচালক মো: বেলাল হোসেন, উপ-সহকারী পরিচালক এ.কে.এম. নূরে আলম সিদ্দিকী ও উপ-সহকারী পরিচালক জয়ন্ত সাহার সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম সোমবার ৮ আগস্ট একটি এনফোর্সেমেন্ট পরিচালনা করেছে। এনফোর্সেমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা কালে সরেজমিনে উক্ত দপ্তর পরিদর্শন করে এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাই করে।
টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সহকারী প্রকৌশলী ও এসময় উক্ত স্থানে উপস্থিত কয়েকজনের বক্তব্য রেকর্ড করে। অত্র কার্যালয়ের দায়িত্বরত কর্মকর্তা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কোন রেকর্ডপত্র দুদক টিমকে প্রদর্শন করতে পারেনি। অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মেয়র ও ঠিকাদারের কাছে জানতে চাইলে তারা অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলেন জানান।
তারা আরো জানান, বৃষ্টি হলে বদরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে থানারোড পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি থেকে জনদুর্ভোগ হ্রাস করতেই নিজ অর্থায়নে ১৬২ মিটার দৈর্ঘ্যের ড্রেনটি তারা করে দিয়েছে এবং মেয়র বলেন, তিনি নিজ অর্থায়নে করার কারণে কাউকেই টেন্ডার দেওয়া হয়নি। সংগৃহীত রেকর্ড পত্র যাচাই অন্তে সুপারিশসহ প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

মোঃ শফিউল আলম, সদস্য, ০৭ নং ওয়ার্ড, বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ, কক্সবাজার এর বিরুদ্ধে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি এবং শ্রমিকদের পারিশ্রমিকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য দুদক, সজেকা, কক্সবাজারের উপ-সহকারী পরিচালক নাছরুল্লাহ হোসাইন এর নেতৃত্বে এবং উপ সহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল এর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম সোমবার ৮ আগস্ট অপর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মোঃ শফিউল আলম এর ছোট ভাই মোঃ শাহজাহান গত নভেম্বর/২০২১ হতে অদ্যাবধি সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। অথচ ২০২২ সালের এপ্রিল, মে, জুন মাসে তাকে কর্ম সৃজন প্রকল্পের শ্রমিক হিসেবে উপস্থিত দেখানো হয় এবং তার ব্যবহৃত সিম ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জামাল হোসেনসহ আরো কয়েকজনের সাথে কথা বলে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্ৰহ করেছে। এই বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম শীঘ্রই কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *