নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। এর ফলে প্রায় ৪০০টি ট্রাকে করে ১০ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসা শুরু করেছে। এসব পেঁয়াজ আমদানির জন্য বাংলাদেশে আগে থেকেই এলসি খোলা হয়েছিল।
বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের বাজারে পিয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত সরকার আচমকা গত ২৯ সেপ্টেম্বর পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যেই এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারপর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রভীশ কুমার জানান, বাংলাদেশের এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভারতে পেঁয়াজের ফলন হয় মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিক, কর্ণাটকের মাকলি এলাকায়। সেখান থেকেই গোটা ভারতের পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আবার নাসিকের পেঁয়াজ রফতানি হয় প্রতিবেশি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতেও।
চলতি বছরে অতি বর্ষণের কারণে কার্যত বন্যায় ভাসছে নাসিক ও মাকলি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি। যার প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজ চাষেও। ফলে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে উৎপাদন। যার প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
তবে ভারত পেয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পর বাংলাদেশ মিশর, তুরস্ক ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে।