নিজস্ব প্রতিবেদক : শারদীয় দুর্গোৎসব জমে উঠেছে। পাঁচ দিনের এই উৎসব ঘিরে সারাদেশে এখন আনন্দমুখর পরিবেশ। শারদীয় দুর্গোৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শনিবার মহাসপ্তমীতে ভক্ত, পূজারি ও দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় ছিল সারাদেশের ৩১ হাজার ৩৯৮টি পূজামণ্ডপে। মণ্ডপে মণ্ডপে এদিন ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের বারতা। তৃতীয় দিন আজ রোববার মহাষ্টমী ও সন্ধিপূজা। রামকৃষ্ণ মিশনসহ বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপে একই সঙ্গে কুমারী পূজার আয়োজন করা হবে।
সব নারীতে মাতৃরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার লক্ষ্য। আজ সকালে নির্দিষ্ট কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হবে। ফুলের মালা, চন্দন ও নানান অলংকার-প্রসাধন উপাচারে নিপুণ সাজে সাজানো হবে কুমারীকে।
কুমারী পূজা সম্পর্কে হিন্দুদের বৃহদ্ধর্মপুরাণে বলা হয়েছে, রাম-রাবণের যুদ্ধে রামকে জেতাতে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর একযোগে নেমে পড়েছেন। তখন শরত্কাল, দক্ষিণায়ন। দেবতাদের নিদ্রার সময়। তাই ব্রহ্মা দেবীকে স্মরণ করলেন। দেবী কুমারীর বেশে এসে ব্রহ্মাকে বললেন, বিল্ববৃক্ষমূলে (বেল গাছ) দুর্গার বোধন করতে। দেবতারা মর্ত্যে এসে দেখলেন, এক দুর্গম স্থানে একটি বেলগাছের শাখায় সবুজ পাতার রাশির মধ্যে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি তপ্তকাঞ্চন বর্ণা বালিকা। ব্রহ্মা বুঝলেন, এই বালিকাই জগজ্জননী দুর্গা। তিনি বোধন স্তবে তাকে জাগরিত করলেন। ব্রহ্মার স্তবে জাগরিতা দেবী বালিকামূর্তি ত্যাগ করে চণ্ডিকামূর্তি ধারণ করলেন। তন্ত্রসার মতে, এক থেকে ষোলো বছর পর্যন্ত বালিকারা কুমারী পূজার উপযুক্ত। তাদের অবশ্যই ঋতুমতি হওয়া চলবে না।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিবারের মতো এ বছরও আমরা আজ সকালে কুমারী পূজার আয়োজন করেছি। পাঁচ থেকে ছয় বছরের বালিকাকে সাজানো হবে কুমারী মাতৃকারূপে। এ উপলক্ষ্যে রামকৃষ্ণ মিশন ও এর আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।