গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ পুরো অগ্রহায়ণ মাস মূলত আমন ধান কাটার মৌসুম। তবে এর আগেই গাইবান্ধায় আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। মাঠের সোনালি ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, এ মৌসুমে ভালো ফলন পেয়ে খুশি তারা।বর্তমান বাজার দরে কৃষকের লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি কৃষি বিভাগের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর গাইবান্ধার সাত উপজেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৯৯ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আমন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩১০ মেট্রিক টন।
সরেজমিনে গত বুধবার গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ি ও সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ধান কেটে আঁটি বেঁধে কেউ মাথায় করে, আবার কেউ কাঁধে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। সীমিত পরিসরে বাড়ির উঠানে চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। এসব ধান নিয়ে কৃষকের যেমন ব্যস্ততা, তেমনি আনন্দও লক্ষ্য করা গেছে।
কথা হয় সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমি পাঁচ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছি। ২০ শতক জমির ধান কেটেছি।
তিনি বলেন, অগ্রহায়ণ মাসে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। তবে আগাম জাতের বিভিন্ন ধান কার্তিকের শেষের দিকে কিছু জায়গায় কাটা শুরু হয়েছে।
চলতি বছর আমন চাষে জেলার কৃষকদের বড় কোনো প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়নি দাবি করে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় এবার আমনের ভালো ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬ হাজার ১০৫ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।
