নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারের চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের অংশ হিসাবে দেশের সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে যে ভুয়া চিকিৎসক কাজ করছেন, তাদের চিহ্নিত করতে অনুসন্ধানে নেমেছে সরকার। সরকারের ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহায়তায়- ওই সব চিকিৎসক খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাদের কাজে সহায়তা করতে র্যাব, পুলিশ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহায়তার দেশব্যাপী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার অসীম কুমার উকিলের মৌখিক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনি সংসদ বিকালে শুরু হয়। উল্লেখ্য সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুপস্থিত থাকায় তার পক্ষে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জন-প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পক্ষে জন-প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। তবে আগামী বিশেষ বিসিএস অর্থাৎ ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শূন্যপদ পূরণ সাপেক্ষে যেসব চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে, প্রত্যেক চিকিৎসককে কর্মস্থলে ২বছর থাকা বাধ্যতামূলক নিশ্চিত করা হবে। বিএনপির হারুনুর রশীদের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পক্ষে জন-প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতিটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০জন চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। এর জন্য স্পেশাল বিসিএসের মাধ্যমে ৪ হাজার সাড়ে ৭শ চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সরকার দলীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পক্ষে জন-প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে মোট ৮৬ প্রকারের গড়ে প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বছরে ১০ লাখ টাকার ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমারজেন্সী বিভাগে ৪৫ প্রকারের গড়ে দেড়লাখ টাকার জরুরি ঔষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। সরকারের সররবরাহ ঔষুধ সেবাগ্রহণকারীদের জন্য যথেষ্ট। মন্ত্রী আরো বলেন, এই পরিমাণ ঔষুধ সরবরাহের পরও চাহিদা থাকলে জরুরিভাবে ঔষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।